রামপুরহাট গণহত্যার পর থেকেই জেলায় জেলায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতেই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। জীবনতলা থেকে কেশপুর—সর্বত্র জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতারও করা হচ্ছে একাধিকজনকে। এবার বন্দুক–সহ গ্রেফতার হলেন জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের এক বিজেপি নেতা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কে এই বিজেপি নেতা? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বিজেপি নেতা আগে এলাকার মানুষকে নানাভাবে ভয় দেখিয়েছেন। এমনকী প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই বিজেপি নেতার নাম মুকুল ঘোষ। তিনি ধূপগুড়ি দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি।
কেমন করে ধরা পড়ল বিজেপি নেতা? পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর আসে থানায় এক ব্যক্তি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে নাথুয়া চা–বাগানের দিকে যাচ্ছে। সেই সূত্রের উপর ভিত্তি করে পুলিশ সেখানে ছদ্মবেশে অপেক্ষা করছিল। তারপর ওই ব্যক্তির সন্দেহজনক আচরণ দেখেই আটক করা হয়। আর হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে একটি দেশি রিভলবার ও ২ রাউন্ড কার্তুজ। ঘটনাটি বানারহাট এলাকায় ঘটেছে। এই বিজেপি নেতার নাম মুকুল ঘোষ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপির। মণ্ডল সভাপতি মুকুল ঘোষ গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘এটা পুলিশের চক্রান্তের শিকার। পুলিশ আমাদের নেতাকে ফাঁসিয়েছে।’ কিন্তু এই মন্তব্য প্রমাণ করা যায়নি। কারণ পুলিশের দাবি, বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র।