এবার গ্রেফতার বিজেপির যুব নেতা। গা–ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার গাঙ্গুলীয়া এলাকা থেকে বিজেপির ওই যুব নেতাকে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউ অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড। অর্থাৎ যোগীর রাজ্যের পুলিশ বাংলায় এসে বিজেপির যুব নেতাকে গ্রেফতার করেছে। এই খবর চাউর হতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অভিযুক্তের নাম বিক্রম রায়। তাঁর বিরুদ্ধে আইপিসি ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৭১, ৩৭০, ১২০বি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মানব পাচার যোগ থাকার অভিযোগে ওই বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির ওই যুব নেতার সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিক্রম রায় বাগদা যুব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। পেশায় টোটো চালক হলেও তাঁর বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘ও টোটো চালায়। উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বক্তব্য বিক্রম টোটোতে করে যে যাত্রী এনেছিল সে বাংলাদেশি। এক থেকে দু’বার হয়ত ওই টোটোতে গিয়েছে। তার সঙ্গে ওর পরিচয় আছে। মোবাইলে কথাও হয়। সেই সূত্র ধরেই ওরা এসেছিল। লখনউ পুলিশ বলল, ওকে নিয়ে যাচ্ছি জেরা করব। গরিব ঘর থেকে উঠে এসেছে। তবে যদি কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে পদক্ষেপ করা হবে।’
আরও পড়ুন: পচা মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগ, পর পর দোকান বন্ধ করে দিল পুরসভা
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কংগ্রেস ধরে নিয়েছে ইস্যুটি। এই গ্রেফতার নিয়ে বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের বক্তব্য, ‘বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। রোহিঙ্গাদের আই কার্ড, আধার কার্ড ওরা করে দিচ্ছে। এভাবে কত জঙ্গি ভারতে ঢুকিয়েছে তার কোনও হিসেব নেই। এই দেশদ্রোহী কাজের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত এমন লোকেদের তারা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়।’
এখানেই বিষয়টি থেমে থাকছে না। বরং তা নিয়ে এখন জেলাজুড়ে জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ লখনউ অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের এক অফিসারের কথায়, ‘আমরা লখনউ থেকে এসেছি। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এটার চেয়ে বেশি আর কিছু বলতে পারব না।’ তবে বিষয়টি নিয়ে সাফাই দিতে নামেন বনগাঁ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তাঁর সাফাই, ‘আমি থানাতে গিয়েছিলাম। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। এই ছেলেটি টোটো চালায়। গাঙ্গুলিয়ায় বাড়ি। ওর টোটোয় প্যাসেঞ্জার ওঠে। সেই প্যাসেঞ্জার ওর টোটোয় উঠে কোথায় গিয়েছে সেটা তো ওর পক্ষে বলা সম্ভব নয়। সেই প্যাসেঞ্জার ওখানে গিয়ে ধরা পড়েছে। হয়তো সে কিছু বলেছে। তা আমি জানি না।’