ক্ষোভটা জমছিল বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই। পুরনির্বাচনের মুখে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন বাঁশবেড়িয়ার বিষ্ণু। তৃণমূলের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে TMC লেখার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যার নাম শোনা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখে।
২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার আহ্বান জানিয়ে গুজরাত থেকে দিল্লি হয়ে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত সাইকেল যাত্রা করেছিলেন বিষ্ণু। দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। রাজনাথের সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রচারের আলোয় আসেন তিনি। দাবি করেন, তৃণমূলের গুন্ডারা তাঁর বুকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে TMC লিখে দিয়েছে। তার পর থেকে একের পর এক ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। বিভিন্ন ঘটনায় মোট ৭ বার গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তার পরেও বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ও ঝাড়গ্রাম জেলার ওবিসি সেলের পর্যবেক্ষক ছিলেন বিষ্ণু।
দলের সঙ্গে তাঁর বিবাদ শুরু হয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে। বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা দেবব্রত বিশ্বাসকে। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ধীরে ধীরে বিজেপিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান বিষ্ণু। বুধবার দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
দলবদলের পর প্রতিভাবান এই নেতার দাবি, এতদিন তৃণমূলের যারা আমার ওপর অত্যাচার করেছিল তারাই এখন বিজেপিতে। তাই মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।
দলে নিলেও বিষ্ণুকে নিয়ে সাবধানী তৃণমূল। তাদের দাবি, স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিষ্ণু। বিষয়টিতে তৃণমূল নেতারা হস্তক্ষেপ করার পর সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়ার ভুয়ো অভিযোগ তোলেন তিনি। ভাল উদ্দেশে এলে ভালো।