একুশের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির সর্বস্তরে ভাঙন ধরতে শুরু করেছে। তারপর গুঞ্জন শুরু হয় দিলীপ ঘোষের সঙ্গে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মুখ দেখাদেখি নেই। এমনকী হিরণ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে খবর চাউর হয়েছিল। সম্প্রতি রেলের ফুটব্রিজ উদ্বোধনে সাংসদ উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বিধায়ক। তা নিয়েই রেলশহরে চর্চা শুরু হয়। তবে এবার দলীয় কর্মসূচিতে একসঙ্গে দেখা গেল বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ–বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে।
এমনকী সেটাও দেখা গেল রেলশহরেই। খড়্গপুরের রামমন্দিরে বিদ্বজ্জনেদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি। সেখানে বিজেপির শিক্ষক, অধ্যাপক, আইনজীবীদের বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন রেলশহরের বিজেপি বিধায়ক হিরণও। তাহলে কী সমস্যা মিটে গেল? উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, বিজেপির বিধায়ক শিবিরে যাতে আর ভাঙন না ধরে তার জন্য তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে অবশ্য হিরণ উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সুকান্তর। সেখানেই ঐক্যবদ্ধ ভাবমূর্তি তুলে ধরার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। যে সমস্যা আছে তা নিরসনের দায়িত্ব নেন সুকান্ত। তারপর থেকেই জট কাটে দিলীপ–হিরণের। যার ফল দেখা গেল রেলশহরে।
সম্প্রতি ফুটব্রিজ সংলগ্ন টিকিট–ঘর নির্মাণে নিযুক্ত শ্রমিকদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হিরণ। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়। আবার গত ৩০ সেপ্টেম্বর রেলের ফুটব্রিজের উদ্বোধন করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে ফাঁকাই ছিল বিধায়কের আসন। তখন থেকেই দিলীপ–হিরণের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। সম্পর্কের যে অবনতি হয়েছিল সেটা নিশ্চিত। কিন্তু সেটার মেরামতির কারিগর হয়েছেন সুকান্ত। তাই দিলীপের একেবারে পাশেই হিরণকে দেখা গিয়েছে। যদিও ফের কাছে আসার বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি।