কদিন ধরেই আবার রাজ্য–রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর সক্রিয় হয়ে উঠতেই বিতর্কও বাড়তে শুরু করেছে। কারণ কদিন আগে খড়গপুরে মহিলাদের কুকথা বলেছিলেন একদা সাংসদ। তোর বাপের কী, চোদ্দগুষ্টি তুলব—এমন সব মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। এবার সেটারই আরও কড়া ডোজ দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজনীতিতে তিনি যে কারও পরোয়া করেন না সেটা আজ, বুধবার কৃষ্ণনগরে এসে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন। আর তাতে কড়া বাক্যবাণে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হল।
আজ, বুধবার কৃষ্ণনগরে চায়ে পে চর্চায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আর এখান থেকেই নাম না করে দলের একাংশকেই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এদিন সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমি নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। দিলীপ ঘোষকে কে কোণঠাসা করবে? আমার কাউকে দরকার পড়ে না।’ এখন জেলা সভাপতি নিযুক্ত করার ঘটনা নিয়ে প্রত্যেক জেলায় অশান্তি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার নিয়েছে। পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন সেটা এখনও ঠিক করা যায়নি। এই আবহে বাক্যবাণ ছাড়লেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: ‘বেলগাছিয়ার ৯৬টি পরিবারকে ‘বাংলার বাড়ি’ বানিয়ে দেওয়া হবে’, ঘোষণা পুরমন্ত্রীর
এদিকে দিলীপ ঘোষ আজ বেরিয়ে ছিলেন কৃষ্ণনগরে। সদর হাসপাতাল মোড় থেকে শুরু হয় চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি। জেলার একাধিক বিজেপি কর্মী সেখানে মিলিত হন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। চেনা মেজাজেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন। একদিন আগেই বর্ধমানের কাটোয়ায় অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলায় গিয়ে দিলীপ ঘোষ একটি ধারালো দা কিনেছিলেন। আর তখন বলেছিলেন, ‘দা–এর অনেক কাজ আছে। এক দা–তে অনেক কাজ হয়ে যাবে।’ এই বক্তব্য ঘিরে রাজ্য–রাজনীতির অন্দরে চর্চা তুঙ্গে ওঠে। আর আজ, বুধবার দিলীপ সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও বঙ্গ–বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকেই বার্তা দিয়েছেন দিলীপ বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন আছে। সেখানে বিজেপির সংগঠন এখন তলানিতে। দক্ষিণ কলকাতায় পোস্টার পড়েছে। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে। কিন্তু দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘দিলীপ ঘোষের পাশে কাউকে দরকার নেই। দিলীপ একাই আছে। পার্টির কর্মীরা আছে। দিলীপ ঘোষকে কে কোণঠাসা করবে? পোস্টার রাজনীতি বিজেপি করে না। কারও যদি কারও বিরুদ্ধে সমস্যা থাকে সেটা নিয়ে কথা বলা উচিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। রাজনীতিতে সব হয়। তবে বিজেপির রাজনীতিতে গুলি–বোমা চলে না। কেউ কেউ কখনও চন্দন আবার কখনও টুপি পড়ে মেকি মুসলমান সেজে ইফতার পার্টিতে যোগদান করছে! এটা মুসলিমদের জন্য লজ্জা।’