একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে শুধুই হারতে হয়েছে বিজেপিকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন যেতে বিজেপি। যা এখন ৬৬ সংখ্যায় নেমে এসেছে। পুরসভা, পঞ্চায়েত, লোকসভা এমনকী উপনির্বাচনগুলিতেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। ১৫ মাসের মাথায় আছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিধায়ক এবং সাংসদদের উপর দায়িত্ব বর্তেছে ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের। সেখানে এখনও ৫০ লাখও স্পর্শ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে। এই আবহে উত্তরবঙ্গ হাতছাড়া হতে শুরু করেছে। সেখানে ক্রমাগত শক্তিশালী হচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তাই এবার উত্তরবঙ্গে পুরনো সৈনিককেই মাঠে নামাল বিজেপি। আজ, শুক্রবার থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ।
এই দিলীপ ঘোষ প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। একদা বিধায়ক। তারপর অতীতের সাংসদ। এমনকী বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি ছিলেন। একুশের নির্বাচনের পর থেকে একে একে সব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এবার দেখা গেল আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ধরাশায়ী হয়েছে। কোনও গতি নেই। তাই আলিপুরদুয়ারে দিলীপ ঘোষকে মাঠে নামাল বিজেপি। এবার থেকে উত্তরবঙ্গে সংগঠন গড়ার কাজ করবেন তিনি বলে সূত্রের খবর। দেরিতে হলেও বিজেপি বুঝেছে দিলীপ ঘোষ ছাড়া গতি নেই। তাই এখন উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াচ্ছেন দিলীপ।
আরও পড়ুন: সরকারি অর্থের অপচয় রুখতে আসছে নতুন অ্যাপ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে নবান্ন
গত ২৭ অক্টোবর থেকে বিজেপির এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। নভেম্বর পর্যন্ত সদস্য সংগ্রহ অভিযান করার কথা ছিল। কিন্তু যা হাল দেখা গেল তাতে সদস্য সংগ্রহ অভিযান ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়। তারপরও বিশেষ কোনও উন্নতি হয়নি। সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি পদ্মশিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, গতকাল দিলীপ ঘোষ জেলায় আসার পাঁচদিন আগে এখানে ৭০ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তাই এখানে সদস্য সংগ্রহের সময়সীমা আরও পাঁচদিন বাড়িয়ে ২০ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আর নামানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে।
এখন আলিপুরদুয়ারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। এরপর উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জায়গা য় যাবেন তিনি। সেখানে সংগঠনের কাজ দেখবেন। কারণ মাদারিহাট এবং সিতাই এখন হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। সদ্য উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে মাদারিহাট। পরাজিত হতে হয়েছে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র। দিলীপবাবু এখন ফালাকাটা শহরে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। এখান থেকে অন্যত্রও যাবেন। এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলাকালীন দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমাদের বড় দল। উপনির্বাচনের জেরে আমাদের দলীয় সদস্য সংগ্রহ দেরিতে শুরু হয়েছে। মানুষ আমাদের পাশে আছে। সেটা সময়ই বলবে।’