বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার রাজনীতিবিদদের মুখে একে অপরের প্রতি চাঁচাছোলা আক্রমণ শোনা গিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আজ সকাল সকাল বাংলাদেশ নিয়ে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। জলপাইগুড়িতে 'চায়ে পে চর্চায়' দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয়না। ভিখিরিদের আশ্রয় ফুটপাতেই হয়।' এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকেও সংখ্যালঘু তোষণ নিয়ে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'সিরিয়ার ঘটনা দেখে কিছু বুঝুন, গাজায় বোম ফাটলে মিছিল হয়, অথচ ওপার বাংলার হিন্দুদের নিয়ে মিছিল করার হিম্মত নেই তৃণমূলের।' এদিকে উত্তরবঙ্গের জনবিন্যাস পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগ এনে দিলীপ বলেন, 'আফগান নাগরিকদের জন্ম মৃতুর সার্টিফিকেট দিয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে মালবাজার পুরসভা, হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করছে তৃণমূল নেতারা।' (আরও পড়ুন: হাতছাড়া হবে ফেনি? কলকাতা দখলের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ এখন নিজেই আতঙ্কে কাঁপছে!)
আরও পড়ুন: ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কতটা জানেন? কী হাল পাকিস্তানের?
কয়েকদিন আগে পর্যন্ত উত্তরপূর্ব ভারত, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ দখলের ডাক দিচ্ছিল বহু বাংলাদেশি। ইউনুস জমানায় সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব দাবি এবং সেই সংক্রান্ত পোস্টে ভরিয়ে দিয়েছিলেন একশ্রেণির বাংলাদেশি। আবার সম্প্রতি বহু রাজনীতিবিদের গলাতেও 'ভারত দখলের' আওয়াজ শোনা গিয়েছে। বিএনপি আবার আগরতলা পর্যন্ত লংমার্চের আয়োজন করেছিল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি 'চার দিনে কলকাতা দখলের' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। এরপরে বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা জবাব দিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিনের ঘুম উড়িয়েছে আরাকান আর্মি, বাংলাদেশে বাড়বে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ?)
আরও পড়ুন: CBI চার্জশিটকে 'কলকাতা পুলিশের চার্জশিট' আখ্যা, আরজি কর নির্যাতিতার বাবা বললেন…
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা তোপ দেগে বিধানসভায় মমতা বলেছিলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, বিহার দখল করবেন, ওড়িশা দখল করবেন...আমি বলি ভাই, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতটাও হিম্মত আপনার কেন, কারও নেই। যে বাংলা, বিহার, ওড়িশা সব নিয়ে নেবেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব। এটা ভাববার কোনও কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট সচেতন নাগরিক।' এই মন্তব্যের পরদিনই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি আবার বলেন, 'আমরা কি আমলকি চুষব?' এই সব মন্তব্য, পালটা মন্তব্যের আবহেই এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই বাংলার মধ্যে।