শুক্রবার রাতে কসবায় শুটআউটের ঘটনা ঘটে। তাতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। ফিল্মি কায়দায় পায়ে হেঁটে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করে এক নাবালক। বন্দুক কোনও কারণে লক হয়ে যাওয়ায় গুলি বেরোয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাস কলকাতায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। খোঁচা দিলেন রাজ্য সরকারকে। প্রশ্ন তুলে দিলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
এদিকে এই ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশকে একই বন্ধনীতে রেখে খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজ, শনিবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পরিস্থিতি ভয়ংকর। কখন কার গুলি লেগে যাবে কেউ জানে না। সমাজবিরোধীরা তৃণমূলের সঙ্গে মিশে অশান্তি করছে। সবাইকে বলব সাবধানে থাকুন। কারণ কার কখন গুলি লেগে যাবে কেউ জানে না।’ আজ আগাগোড়াই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে। এখন রাজ্য পার্টিতে তিনি সাইডলাইনে রয়েছেন। সেখানে এমন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন অর্জুন সিং, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের শরীরে কী ঢুকেছে?
অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালালেন। যা কিনা ট্রাফিক আইন বিরোধী। কেন বিনা হেলমেটে মোটরবাইক চালালেন? প্রশ্ন করা হয় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদকে। জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চিরদিন মোটরবাইক চালিয়ে সংগঠন করেছি। একসময় সাইকেল নিয়ে গ্রামেগঞ্জে ঘুরেছি সংগঠন তৈরি করতে। এখন দল গাড়ি দিয়েছে, সরকার নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে। অনেকদিন মোটরবাইক চালাইনি। তাই আজ মোটরবাইক চালিয়ে কর্মীদের সঙ্গে চা খেতে এলাম। সরকারই সেফ নেই তো ড্রাইভ আবার কিসের।’ আজ শনিবার দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী স্মারক ময়দানে প্রাতঃভ্রমণ সেরে দলীয় বিধায়কের বুলেট নিয়ে দুর্গাপুরের একাংশে ঘুরলেন। মোবাইলে মিস কল দিয়ে বিজেপির নতুন সদস্য পদ হওয়ার আর্জি জানালেন সাধারণ মানুষকে। এখন সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এছাড়া রাজ্য সরকারের দেদার সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। একইসঙ্গে পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘পুলিশ তোলাবাজি করছে। আর সেই তোলার টাকা পৌঁছে দিচ্ছে তৃণমূল নেতাদের ঘরে। তাই ওদের নেতাদের টার্গেট করেছে এবার দুষ্কৃতীরা। ওই তৃণমূল নেতাদের পরিবার এখন পুলিশি তদন্তের উপর আস্থা হারিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি চাইছে তদন্তের জন্য। পুলিশের কাজ এখন একটাই। গরুর গাড়ি, বালির গাড়ি থেকে টাকা তুলে পার্টিকে দেওয়া। ফলে অপরাধীরা যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। এখন ভাগ বাটোয়ারা এবং ব্যাপক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের গোলমাল। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে কসবা কাণ্ডেও সেটাই প্রমাণিত হবে।’