দলের জেলা সভাপতিকে বরখাস্তের দাবিতে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোয় এক নেতাকে বরখাস্ত করল বিজেপি। উত্তর দিনাজপুরের বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা বলরাম চক্রবর্তী অবশ্য জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এখনো সরব। রাজ্য নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়ে এই নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার।
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুরের জেলা সভাপতি বদল করে বিজেপি। বিশ্বজিৎ লাহিড়িকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় বাসুদেববাবুকে। অভিযোগ, গত ৪ অগাস্ট তাঁর অপসারণ চেয়ে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে সমর্থনদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বলরামবাবু। বিশ্বজিৎ লাহিড়ির অনুগামী বলে পরিচিত বলরাম চক্রবর্তীর অভিযোগ, জেলা দফতরের ভিতরে মহিলাদের নিয়ে নানা কুকর্ম করেন। সঙ্গে রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
এর পরই বলরামের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু হয়। তাঁকে শো-কজ করে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। ঘটনার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই অভিযুক্ত নেতাকে বহিষ্কার করল দল।
এদিন বহিষ্কারের খবর পেয়ে বলরাম বলেন, ‘আমাকে কেউ জানায়নি। বহিষ্কার করে ভাল করেছে। আমি নিজের বক্তব্যে অনড়। এই জেলা সভাপতি মানি না। জেলা সভাপতি বদল না করলে অনেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাবে।’
জেলা বিজেপি সভাপতি বাসুদেববাবু জানিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ওকে আগেই চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তিনি কান দেননি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য বিজেপিতে শৃঙ্খলার অভাব ভোটের আগেই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। ভোটে টিকিট না পাওয়ায় এই উত্তর দিনাজপুর জেলাতেই দলের একের পর এক পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছেন বিজেপি কর্মীরাই। ভোটে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ে। বাসুদেবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল, বিজেপিতে থেকে যা খুশি তাই করা যাবে না আর।