বিধানসভা ভোটে ২০০-র স্পপ্ন দেখে ৭৭-এই থেমে যেতে হয়েছিল বিজেপিকে। এরপর থেকে ১-২টো করে আসন কমেছে বিজেপির। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলের নাম লিখিয়েছেন মুকুল রায়। গতকালই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। আর এরই মাঝে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বহু নেতা বেসুরো হয়েছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনালী গুহর মতো নেতারা ঘাসফুল শিবিরে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। আর এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গেল বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।
তন্ম ঘোষের দলত্যাগ প্রসঙ্গে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি নেতা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বিজেপির যে হোমওয়ার্ক করে না বা এই বিষয়ে কোনও ধারণা নেই তা ফের প্রমাণিত হল। তন্ময় ঘোষ তৃণমূলেরই ছিলেন। ভোটের আগে কেন তাঁকে বিজেপিতে নেওয়া হয়েছিল? সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীও করা দেওয়া হয় তাঁকে। জিতেও গেলেন। কিন্তু ফল প্রকাশের সাড়ে তিনমাসেই ডিগবাজি খেলেন।' এদিন সৌমিত্র খাঁকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি জয়। বলেন, 'বিষ্ণুপুরে আমাদের এক নেতা আছেন, তিনি সব দলেই ছিলেন। ওনার নাকি অগাধ জ্ঞান। উনিও কোনও ধারণাই করতে পারেননি যে এমনটা হবে।'
এরপরই তাঁর গলায় মমতার সুখ্যাতি শোনা গেল। তিনি বলেন, 'ভোটের আগে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া সব অযোগ্য তৃণমূল নেতারা বিজেপিতে এসেছেন। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শক্ত হাতে নিজের দলের পরিস্থিতি সামলেছেন। কিন্তু বিজেপিকে মনে রাখতে হবে আমাদের দলে কোনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আমার আবেদন, রাজ্যে যাতে ভালো নেতা পাঠানো হয়। এখানকার নেতারা তোষামোদ ছাড়া কিছু বোঝেন না। অযোগ্য লোকেরা দায়িত্ব পাচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না। অবিলম্বে আমাদের যোগ্য ব্যাক্তিদের খুঁজে বের করতে হবে।'