একুশের নির্বাচনে দুই ‘খোকনের’ তাণ্ডব দেখেছিল বর্ধমানের মানুষজন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খোকন দাস এবং বিজেপি নেতা খোকন সেনের মধ্যে লাগাতার ‘সংঘর্ষের’ জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বর্ধমান। তার জেরে চলেছিল কড়া পুলিশের নজরদারি। আবার নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস ও হিংসার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপির বর্ধমান টাউন কো–কনভেনর খোকন সেন ওরফে বিশ্বজিৎ সেনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, খোকন সেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগে থেকেই হিংসা ও সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ ছিল। একাধিকবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় ওঠে পূর্ব বর্ধমান। এই সংঘর্ষের নেপথ্যে খোকন সেন ছিল বলে দাবি পুলিশের। শুক্রবার এই অভিযোগের ভিত্তিতে খোকনকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুনীল গুপ্ত বলেন, ‘পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।’
গ্রেফতারের পর বিজেপি নেতা খোকন সেন বলেন, ‘বিজেপি করার অপরাধে আমায় গ্রেফতার করা হল। কে বা কারা আমার নামে অভিযোগ জানিয়েছে আমি তা জানি না। তৃণমূল কংগ্রেস মিথ্যা মামলায় আমায় ফাঁসিয়েছে।’ যদিও জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। পুলিশ কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। নির্বাচনের আগে ও পরে আমাদেরও বেশ কয়েকজন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে।’