রবিবার ভরসন্ধ্যায় টিটাগড় থানার অদূরে গুলিবিদ্ধ হন বিজেপি–র ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সদস্য মণীশ শুক্ল। তাঁকে লক্ষ্য করে ১৩ থেকে ১৪ রাউন্ড গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতেই ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং–ঘনিষ্ঠ ওই বিজেপি নেতার মৃত্যু হয় বাইপাসের ধারে বেসরকরি এক হাসপাতালে।
সেই ঘটনায় সোমবার সকাল ১০ টায় রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জেরে রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে টিটাগড় পুরসভার কাউন্সিলর মণীশ শুক্লার কাপুরোষচিত খুনের ঘটনায আগামিকাল (সোমবার) সকাল ১০ টায় স্বরাষ্ট্রসচিব ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে তলব করা হয়েছে।'
রবিবার টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন বিজেপি–র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য বিজেপি–র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লকে টিটাগড় থানার সামনে গুলি করে খুন করেছে। পুলিশের ওপর তাঁদের আর কোনও বিশ্বাস নেই। কারণ, এর আগে সাংসদ অর্জুন সিং তাঁকে অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে ব্যারাকপুরে তাঁর এবং তাঁর কর্মীদের জীবন নিয়ে সংশয় রয়েছে।
অর্জুন সিং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অর্জুন ঠাকুরকে তাঁকে খুনের ‘সুপারি’ দিয়েছেন। মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখারও দাবি জানিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুরে ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ব্যারাকপুর জুড়ে কাল একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিং, সাংসদ অর্জুন সিং এবং সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁরা নেতৃত্ব দেবেন বলে দলীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে।
কে বা কারা গুলি চালালো তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিটি রোড জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসেছে পুলিশ পিকেটও।