বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পরিবারের দাবি, পুলিশের পরামর্শেই লকডাউন চলাকালীন ৩ মাস আগে তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্রটি জমা দিয়ে দেন মণীশ। আর তদন্তে প্রকাশ, তার পর থেকেই মণীশকে খুনের চক্রান্ত শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
মণীশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মণীশের কাছে দীর্ঘদিন ধরে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তবে সেটি কোনও দিন ব্যবহার করেননি মণীশ। নাগাল্যান্ড সরকারের লাইসেন্স প্রাপ্ত সেই আগ্নেয়াস্ত্রটির খোঁজ পেয়ে মণীশের বিরুদ্ধে মামলা করে বারাকপুর পুলিশ। অভিযোগ ছিল, ভুয়ো ঠিকানা দেখিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন তিনি।
তদন্ত শুরু হলে আধিকারিকরা মণীশকে আগ্নেয়াস্ত্রটি জমা দিয়ে আসতে বলেন। এর পরই গত জুলাই মাসে নাগাল্যান্ড সরকারের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রটি জমা দিয়ে দেন মণীশ। তার পর তিনি নতুন আগ্নেয়াস্ত্রের আবেদন করলেও তার লাইসেন্স পাননি তিনি।
পরিবারের দাবি, মণীশের কাছে যে আগ্নেয়াস্ত্র নেই সেই খবর পৌঁছেছিল মহম্মদ খুররমের কাছে। তার পরই তাকে খুনের ছক কষতে শুরু করে সে। দুষ্কৃতীদের মণীশকে মারতে সুপারি দেয়। গোটা ঘটনায় পুলিশও যুক্ত বলে দাবি নিহত বিজেপি নেতার পরিবারের।