বীরভূম নলহাটির তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়িতে হাজির বিজেপি–র জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়। সেখানে হাজির হয়ে তাঁকে স্বাগত জানান বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকর্মী। বিভাসবাবুর বাড়ি সংলগ্ন অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থানীয় এক গেস্ট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও সারেন ওই দুই ‘পুরনো সঙ্গী’। সেখান থেকে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘২০২১–এ বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।’ আর এই নিয়েই রবিবার রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের প্রাক্তনী মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
যদিও এদিন সেখানকার অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমে প্রণাম সেরে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘সৎসঙ্গের প্রতিষ্ঠাতা অনুকূল ঠাকুরকে মানুষ শ্রদ্ধা করে। সেই আশ্রমে আজ আমি এসেছিলাম। এটাকে রাজনীতি ভাবলে হবে না।’ নলহাটির তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এরা আমার দীর্ঘদিনের পুরনো সঙ্গী, তাই দেখা করতে এসেছি। এর সঙ্গেও রাজনীতি জড়াবেন না।’ বিভাসবাবুও এটাকে সৌজন্য সাক্ষাত বলেই ব্যাখা করেছেন। এবং জানিয়েছেন দল (তৃণমূল) ছাড়ার হলে ভনিতা করে নয়, প্রকাশ্যে ছাড়বেন।
ঘটনার কথা জানতে পেরে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দল খোঁজ নিয়ে দেখবে। কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’ বাংলায় বিজেপি–র ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনার ব্যাপারে কটাক্ষ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ওটা বিজেপি–র দিবাস্বপ্ন।’
স্বাভাবিকভাবেই এদিনের এই ঘটনায় জল্পনার দু’রকমের পারদ চড়েছে। এক, তৃণমূলে ফিরে আসার ইঙ্গিত দিতেই এদিন তৃণমূল নেতার সঙ্গে দেখা করলেন মুকুল রায়। দুই, জেলায় জেলায় বিজেপি–র সংগঠন আরও মজবুত করার অন্যতম কাজ এদিন করে গেলেন বীরভূম নলহাটিতে এসে। এবার ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কী হয়েছে, তা মুকুল রায় আর তাঁর ‘পুরনো সঙ্গী’ বিভাস অধিকারীই জানেন।