স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছর পূর্তিতে একের পর এক বিতর্ক ধরা পড়ল এই বাংলায়। দুটি ঘটনা আজ চরম বিতর্ক তৈরি করল। আর দুটি ঘটনাই ঘটেছে জঙ্গলমহলের দুই জেলায়। আর তার জেরে উঠেছে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ। এক, পুরুলিয়া বিজেপি নেতার বাড়িতে জাতীয় পতাকার উপরে উড়ল দলীয় পতাকা। দুই, বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে উলটো পতাকা তুললেন জেলাশাসক রাধিকা আইয়ার। এই দুটি ঘটনাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ঠিক কী ঘটেছে পুরুলিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের অন্তর্গত আনাড়া গ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি খগেন বাউরি। এই বিজেপি নেতার বাড়ির ছাদে দেখা যায়, জাতীয় পতাকার উপরে উড়ছে বিজেপির দলীয় পতাকা। এই ঘটনা চাউর হতেই সেখানে সংবাদমাধ্যম পৌঁছয়। তখন তড়িঘড়ি দলীয় পতাকা নামিয়ে দেন খগেন বাউরি। এই ঘটনার পর বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনা নিয়এ পুরুলিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি কিরীটি আচার্য বলেন, ‘বিজেপি দল এবং তাঁর নেতা জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছে। মুখে দেশভক্তির কথা বলা হচ্ছে, হর ঘর তেরঙ্গা, আজাদি কি অমৃত মহোৎসব বলা হচ্ছে। আর দলের নেতারাই দলীয় পতাকার নীচে জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে এইউ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতা? এই ঘটনা ঘটিয়ে এখন তিনি গ্রামের মধ্যমণি হয়ে উঠেছেন। তবে সাফাই দিয়ে খগেন বাউরি বলেন, ‘হর ঘর তেরঙ্গা অভিযানে নিয়ম মেনে দলীয় পতাকার উপরে জাতীয় পতাকা লাগিয়েছিলাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেটা নিচে পড়ে যায়।’ দ্বিতীয় বিতর্ক বাঁধে বাঁকুড়ার সংশোধনাগারে। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় বিপত্তি ঘটান জেলাশাসক রাধিকা আইয়ার। উলটো পতাকা উত্তোলন করে তিনি। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।