আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগকে রোখার পথ নেই। তবে মানুষের পাশে আছি। মায়ের মতো রাজ্যবাসীকে আগলে রাখব।’ তারপরেই টুইট করলেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক অধুনা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে থাকলে হয়তো গুরুদায়িত্ব আজ তিনিই পেতেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছেন। অনেককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আবার বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়তে চলেছে। আজ একই গাইডলাইন দিলেন রাজীবও। সঙ্গে উঠে এল প্রশাসনে ভরসা রাখার কথা।
ঠিক কী টুইট করেছেন রাজীব? মঙ্গলবার একটি ট্যুইটে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে। আপনারা কেউ ঘর থেকে বেরোবেন না। ঘরের ভেতর নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন। প্রশাসনের বার্তা ও ঝড় সংক্রান্ত সতর্কবার্তার দিকে নজর রাখুন। করোনা নিয়েও সতর্ক থাকুন। সবসময় মাস্ক পরুন। ঘন ঘন সাবান জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। সবাই সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।’
রাজীবের এই প্রশাসনের উপর ভরসা রাখার কথা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন তিনি পরাজিত রাজনীতিবিদ। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকেই শিখেছেন কি করে বিপদে মানুষের পাশে থাকতে হয়। তাই রাজ্য প্রশাসনের উপরই ভরসা রাখতে বলেছেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আবার প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার রাস্তা তৈরি করছেন? এই বিষয়ে এখনও তিনি কিছু খোলসা করেননি।
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়ার সময় তাঁর উক্তি ছিল, দলে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে যাওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চোখের জল ফেলেছিলেন তিনি। এখন কাজের সুযোগ অবশ্য বিজেপিতে গিয়েও মেলেনি। তার উপর নির্বাচনে তিনি গোহারা হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলে হয়তো তাঁকে এবারেও তাঁকে বিপর্যয় মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকাতেই দেখা যেত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। তাই দিদির পথকেই কার্যত পাথেয় করতে বলছেন তিনি।