ফের বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তৃণমূলের হামলা। এবার হুগলির রিষড়ায় আক্রান্ত বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সোমবার সকালে বিজেপির গৃহসম্পর্ক কর্মসূচিতে যোগদান করতে রিষড়া গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এই নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন সায়ন্তন।
সপ্তাহখানেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণদাঁড়িতে দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তৃণমূলি গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। তাঁকে জামা টেনে ধরে পুলিশের সামনেই রীতিমতো মারধর করেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিন পরিস্থিতি ততটা খারাপ না হলেও সায়ন্তন বসুর গাড়ি ঘিরে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরা। গাড়িতে চড়-চাপড়ও মারা হয় বলে অভিযোগ।
সোমবার সকালে রিষড়ার ব্রহ্মানন্দ স্কুলের কাছে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন সায়ন্তন। তখনই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাঁদের দাবি, সায়ন্তনকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না এলাকায়। পালটা বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরাও। দুদলের কর্মীরা মুখোমুখি হতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
এর পর সায়ন্তনবাবু বলেন, ‘এই অসভ্যতা কেন? এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমি আমার দলের এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। সেটা করার অধিকার আমার নেই? এ কোন রাজ্যে বাস করছি। এ স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।’
ঘটনায় পালটা সায়ন্তনকেই কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘সায়ন্তন বসুর কাজই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। উনি বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছিলেন। তাই এলাকার মানুষ তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসও এলাকার মানুষের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।’
প্রশ্ন উঠছে, তৃণমূলের দাবি মতো যদি ধরেও নেওয়া যায় যে সায়ন্তনবাবু বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছিলেন, তাহলে তা মোকাবিলার জন্য রয়েছে স্থানীয় থানা ও পুলিশ। সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়ে কোন শৃঙ্খলা পরায়ণতার উদাহরণ রাখল শাসকদল?
তৃণমূলের বিক্ষোভেও যদিও দমেননি সায়ন্তন। দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পর গাড়ি করে বেরিয়ে যান এলাকা থেকে।