রাত পোহালেই রাজ্যের ছ'টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে ভোট। যার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার তালডাংরা কেন্দ্রটি। আর ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ভোটারদের ফিস্ট করার টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে শর্ত হল মোবাইলে ভোটদানের ছবি তুলে সেটি নেতাদের দেখাতে হবে। এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের তৃণমূল কংগ্রেস এভাবেই প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতার এমন অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে তালডাংরায় । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাল্টা তারা বিজেপিকেই আক্রমণ করেছে।
আরও পড়ুন: লড়ছেন সঙ্গীতা, সিতাইতে আসল লড়াই তো জগদীশ বনাম নিশীথের, জেনে নিন একনজরে সবটা
প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ সরকার জানান, ফোনেই তিনি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছেন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দ্রুত জেলা শাসককে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সুভাষ সরকার এদিন বলেন, ‘তৃণমূল একটা নতুন পদ্ধতি আমদানি করেছে। তারা ভোটারদের বলছে মোবাইল নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাও, ভোটদানের ছবি তোলো এবং নেতাদের দেখাও, তারপরে টাকা নিয়ে ফিস্ট কর।’
এপ্রসঙ্গে আইনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সুভাষ বলেন, ‘এটা আইনত দণ্ডনীয়। যদি কেউ ভোটদানের ছবি তুলতে গিয়ে ধরা পড়ে তাহলে তিন বছরের জেল এবং সেইসঙ্গে জরিমানা হতে পারে। আমরা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।’ একইসঙ্গে ভোটারদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করেন সুভাষ সরকার। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি যাতে ভোট গ্রহণের সময় এবিষয়টি নিয়ে মাইকিং করে প্রচার করা যায় সেই প্রস্তাবও নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়েছেন।
এদিকে, বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পালটা গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবুর কটাক্ষ, এটা বিজেপির সংস্কৃতি। তৃণমূল মানুষকে নিয়ে ৩৬৫ দিন উন্নয়নের কাজ করে থাকে। তাই তৃণমূলকে ফিস্ট দেওয়ার প্রয়োজন হয়না। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন সাংসদ দলটা একটু ভুল বলে ফেলেছেন। আসলে ভোটারদের মদ দেওয়া, ফিস্ট করার খরচ দেওয়া এসব বিজেপির কালচার। ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি বাংলায় এই কালচারের আমদানি করেছে। এরকম করে জিতেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। তাই ভেবেছিলেন এবারও সেইভাবে করে জিতে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। তৃণমূলের এসব প্রয়োজন হয় না।’