ভোট মিটতেই শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা। দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপির কর্মীরা। গাড়ি-বাড়ি ভাঙচুর, মারধর, বোমাবাজি, হুমকি লেগেই রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি বসিরহাটেও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে মিনাখাঁয় ভোট পরবর্তী হিংসার ছবি দেখা গিয়েছে। বহু পরিবার আতঙ্কে প্রহর গুনছেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে বসিরহাটের পুলিশ সুপারের কাছে ডেপুটেশন জমা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন: ভোটের পর হিংসা রুখতে বোসকে চিঠি শুভেন্দুর, ‘BJP চুপ থাকবে না’ হুঁশিয়ারি সুকান্তর
ডেপুটেশন জমা দেওয়ার আগে তিনি সেখানে আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই খবর শোনার পর আজ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে মিনাখাঁ যাচ্ছিলেন। সেই সময় সুকান্তর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বটতলার কাছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। পাশাপাশি জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন।
পরে প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ের গাড়িগুলি সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে সুকান্ত মজুমদার বসিরহাটের পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডেপুটেশন জমা দেন। এদিন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ছিলেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার ইনচার্জ অর্চনা মজুমদার, বিভাগীয় ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, আজ কলকাতায় ফিরেছেন সুকান্ত। ফেরার পর প্রথমে রাজ্য বিজেপির দফতরে যান। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে দলের আক্রান্ত কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের আইনি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে বিজেপি চুপ করে থাকবে না । এর পালটা জবাব দেবে বিজেপি। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন।