একসময়ে জমি আন্দোলনের দৌলতে নন্দীগ্রামের নাম জেনেছিল গোটা দেশ। সেই আন্দোলন আজ ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। সেই আন্দোলন নিয়ে রয়েছে বহু বিতর্ক, দাবি, পালটা দাবিও। জমি আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি শুভেন্দু অধিকারী আজ আর তৃণমূলে নেই। তিনি এখন রাজ্য বিজেপির অন্যতম 'মুখ', বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা। কৃষি আইন বাতিলে এহেন শুভেন্দু নীরব। একদিকে যেই সময় কৃষি আইন বাতিলের খুশিতে তৃণমূল নন্দীগ্রামে মিছিল বের করে, তখন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে।
শুক্রবার নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি আবু তাহেরের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। তাহের সংবাদমাধ্যমকে কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে জানান, এটা প্রমাণ যে জনগণের আন্দোলন স্বৈরাচারী শক্তিকে হারিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি তিনি জানান, আগামীতে যেখানেই কৃষক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে সেখানেই নন্দীগ্রামের মানুষ পাশে দাঁড়াবে।
এদিকে শুক্রবার যখন তৃণমূলের মিছিল হচ্ছে, তখন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন ভগবানপুরে দলীয় কর্মীর স্মরণসভায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন বাতিল সংক্রান্ত ঘোষণা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী কোনও প্রতিক্রিয়া না দিয়ে নমস্কার জানিয়ে চলে যান।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক তরজা, বিতর্ক, আন্দোলনে ইতি টানতে শুক্রবার গুরুনানক জয়ন্তীর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানান, কৃষকদের বোঝাতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। আর প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর এই একই আক্ষেপের সুর কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের গলাতেও। এদিকে উচ্ছ্বসিত বিরোধীরা। তবে এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা 'স্পিকটি নট।'