নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে ‘ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র' বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর ‘যন্ত্রণা’ উসকে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বললেন, ‘(মমতা) যতদিন বাঁচবেন, রাজনীতিতে থাকবেন - কানের কাছে বাজবে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি।’
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের নিমতৌড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘(মমতা) আমার এখন নতুন নাম দিয়েছেন, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র। খালা (মমতাকে কটাক্ষ করে) নাম দিয়েছেন আমার - ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র। প্রচণ্ড যন্ত্রণা। চিরদিন, যতদিন বাঁচবেন, রাজনীতিতে থাকবেন - কানের কাছে বাজবে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি। আপনি মাথা থেকে কখনও বের করতে পারবেন না। আপনাকে এই যন্ত্রণা নিয়েই চলতে হবে।’
গত বুধবার ভবানীপুরে উপ-নির্বাচনের জন্য চেতলায় তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু নিশানা করেছিলেন মমতা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ানোর ফাঁকেই মমতা দাবি করেন, খুনের মামলায় তথ্য থাকলেও এফআইআর দায়ের করা যাচ্ছে না। মমতার কথায়, ‘আমাদের লোকেরা আপনাদের কাছে সাক্ষী দিতে যাবেন। জেরা করবেন ১০ ঘণ্টা। কিন্তু আমাদের এজেন্সি যদি আপনাদের কাউকে ডাকে, তথ্য থাকা সত্ত্বেও, মার্ডার কেস থাকা সত্ত্বেও তখন আপনি তার অর্ডার করিয়ে নিয়ে বলবেন যে এফআইআরও করা যাবে না। ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র?’
শনিবারের কর্মসূচিতে নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানকেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তাঁর কটাক্ষ, ‘জাহাজবাড়ির মালিক’ সুফিয়ান মমতাকে বলেছিলেন যে ৮০,০০০ ভোটে জিতিয়ে দেবেন। কিন্তু উলটে মমতা নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন।