আবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ‘কালো পতাকা’ দেখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কর্মসূচির আগে নন্দীগ্রামে উত্তেজনা দেখা গেল। বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামে যাওয়ার আগে টেঙ্গুয়া মোড়ে মুখোমুখি হয় তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি। তখন দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। সমবায় সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ। সোমবার নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা যাওয়ার পথে টেঙ্গুয়া মোড়ে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তখন বিজেপি কর্মীরা বাধা দেওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এই অবস্থার মধ্যেই বেরিয়ে যায় শুভেন্দুর কনভয়।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামে আজ বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। সমবায় সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কালো পতাকা দেখান তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। গো–ব্যাক শুভেন্দু গো–ব্যাক স্লোগান ওঠে। শিশু দিবসের দিন নন্দীগ্রামে আবার একবার বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আবার স্লোগান ওঠে, ‘চোর চোর চোরটা, শিশিরের ছেলেটা’।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ভূমিরক্ষা কমিটির যে সকল সদস্যরা যাদের জন্য প্রাণ হারিয়েছেন তাদের এখন শুভেন্দু অধিকারীর সভায় দেখা যাচ্ছে। এবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর পথ আটকালেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকরা। পাল্টা বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। এই জোড়া বিক্ষোভের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় নন্দীগ্রাম থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের। তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ, নন্দীগ্রামে শহিদদের বেদী থেকে ফুলের মালা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। চন্দন মুছে ফেলা হয়েছে। শহিদদের প্রতি অপমান করা হয়েছে।
আর কাঁথিতে কী হয়েছে? নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে যখন কালো পতাকা দেখতে হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে তখন কাঁথিতেও ‘গেট ওয়েল সুন’ লেখা কার্ড দিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পৌঁছে যায় বাড়ির দুয়ারে। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। কারণ পুলিশ বাধা দিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের যুব–ছাত্র শাখা শুভেন্দুর সুস্থতা কামনা করে ‘গেট ওয়েল সুন’ লিখে শান্তিকুঞ্জের দুয়ারে হাজির হয়। অভিষেকের একটি ছবি দেওয়া গ্রিটিংস কার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সমস্ত কলেজ ইউনিটের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী–সমর্থকরা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি গিয়ে গ্রিটিংস কার্ড দিতে যান।