লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই কেশপুরে আবারও আক্রান্ত বিজেপি। এবার বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে চলন্ত বাইক থেকে ফেলে ব্যাপক মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মণ্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্ত। অভিযোগ, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখানোর পাশাপাশি বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। পালটা এই ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এই নিয়ে কেশপুরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ, মারধর, কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ ভগবানপুরে
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধায় কেশপুর ১৪ নম্বর অঞ্চল ঝেতলার কুশপাতাতে বিজেপির একটি সভা ছিল। সেই সভাতে যোগ দিতে বাইকে করে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু। সেই পথেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপরেই তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয় দেখানো হয়। তাছাড়া, লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে চলে এলে দুষ্কৃতিকারীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় শুভেন্দুকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুভেন্দু সামন্ত জানান, ‘এবার তৃণমূল প্রার্থী দেব হারবে আর বিজেপি প্রার্থী হিরণ জিতবে। সেটা তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে। সেই কারণে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে কোনও লাভ হবে না। এভাবে বিজেপিকে দমানো যাবে না। মানুষ এখানে বিজেপিকে ভালোবাসে। আজ বিজেপির প্রতি মানুষের ভালোবাসার জন্য আমি প্রাণে বেঁচেছি।’ আক্রান্ত বিজেপি নেতা এদিনের ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ভাস্কর চৌধুরী, তন্ময় মণ্ডল সহ অনেকের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছেন।
এই ঘটনায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা কেশপুরের বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত তৃণমূল নেতা কর্মীদের নামে থানায় অভিযোগ করা হবে। যদি পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলন করবে বিজেপি। অন্যদিকে, মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেশপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা। তিনি জানান, ‘এসব নাটক করে কেশপুরের মাটিতে বিজেপি যে কোনওভাবে জায়গা পারবে না, সেটা ওরা ভালো করে জানে। তৃণমূল কর্মীরা ভোট প্রচারে ব্যস্ত, তাদের সময় নেই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার। ওরা নাটক করে বাজার গরম করে খবরে আসতে চাইছে।’