হালিশহরে শনিবার বিজেপি কর্মী খুন ঘিরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে কর্মী খুন নিয়ে দিলীপ ঘোষ থেকে মুকুল রায়, শুভ্রাংশুরা সরব হতে শুরু করেছেন। রীতিমতো বদলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিগুলি তুলে ধরা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। আর সওয়াল করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির।
সৈকত ভাওয়ালকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল তা সপাটে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি’র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। বিজেপি নেতা মুকুল রায় টুইট করে দাবি করেন, আরএসএসের একনিষ্ঠ কার্যকর্তা ও বিজেপির নেতা সৈকত ভাওয়ালের মৃত্যুর নেপথ্যে তৃণমূলের ত্রাসের চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিষয়ে মুকুল পুত্র তথা স্থানীয় বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘এই মৃতদেহ কেবল শুধু একটি মানুষের মৃতদেহ নয়, এই রাজ্যের ঘুণ ধরা গণতন্ত্রের লাশ। আর কত মায়ের কোল খালি হলে তৃপ্ত হবে তৃণমূল! মানুষ সহ্য করবে না। যাঁদের কোল খালি হল, তাঁরা ছেড়ে দেবেন না। বদলা হবে।’
এই মন্তব্যকে ইন্ধন দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সৈকত ভাওয়ালকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করেছে। রোজই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। শনিবার কসবায় পথসভা ছিল। সেখানে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা হয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডা, পুলিশ ছাড়া কোনওভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। পুলিশের যেভাবে অপব্যবহার হচ্ছে, তাতে ফোর্সের নাম বদনাম হচ্ছে। যেদিন জেপি নড্ডার উপর হামলা হয়, সেদিনই বোঝা যায় বাংলার পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে।’