অমিত শাহের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সফর নিয়ে তৈরি হল বিতর্ক। বিজেপি নেতাদের নিয়ে সেখানে প্রবেশ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিদর্শনের সঙ্গী ছিলেন একাধিক বিজেপি নেতা। তাঁরা সেখানে কেন ছিলেন তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেও নিষেধ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, সব বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিদর্শন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক রাখারই পরিকল্পনা করেছিল কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্দেশ্যেই অমিত শাহের সঙ্গে বিশ্বভারতীর দুই কোর্ট সদস্য তথা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও লকেট চট্টোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে না বলেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল সেখানে প্রায় বঙ্গ–বিজেপির প্রথমসারির নেতারা উঠে এসেছেন।
তাই রবিবার সকালে ধরা পড়ল অন্য ছবি। বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতন হেলিপ্যাডে শাহের চপার নামতেই তাঁকে স্বাগত জানান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, স্বপন ও লকেট। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল–সহ কয়েকজন নেতা। চপারে শাহের সঙ্গী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা। আর রবীন্দ্রভবন, সঙ্গীতভবন এবং উপাসনা মন্দিরে অমিত শাহের সঙ্গী হন এই নেতাদের কয়েকজন।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে কর্মী, অধ্যাপক, আধিকারিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত আলাপচারিতার অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, এরপরেও কি শাহের বিশ্বভারতী সফরকে অরাজনৈতিক বলা যায়? ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীয় ফ্যাকাল্টি বডির প্রধানকে শো–কজ করা হয়েছে। কারণ ভেতরে যে বৈঠক হয়েছিল, তার বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে চলে আসে। সব মিলিয়ে বিতর্কের উর্ধ্বে উঠতে পারল না অমিত শাহের সফর।