এখন দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে প্রত্যেকটি বুথকে শক্তিশালী করতে এখন উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। যদিও সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এই কাজের জন্য মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। শক্তিশালী বুথের সঙ্গে মোটরবাইক বাহিনীর সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে এমন সমীকরণ অবশ্য রাজনৈতিক মহল সহজে মেনে নিতে নারাজ। তবুও বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের খুঁজে বের করছে তারা।
ইতিমধ্যেই সাগরদিঘিতে বিজেপির জামানত জব্দ হয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর থেকে বিজেপিকে শুধুই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। কারণ সংগঠন বলে জেলায় কিছু এখন আর নেই। সম্প্রতি বুথস্তরের হাল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছেন মঙ্গল পাণ্ডে এবং সতীশ ধন্দ। তাতে রাজ্য বিজেপির সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা তুলে ধরা হয় জেপি নড্ডার কাছে। তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আস। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য থেকে জেলায় ‘বুথ স্বশক্তিকরণ অভিযান’ কর্মসূচির যে পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে বুথ শক্তিশালী করার সঙ্গে মোটরবাইকের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকে। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা গেলে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যাবে। বুথের কোথায় কোনও সমস্যা বা কোনও দলীয় কর্মী অসুস্থ হলে, দ্রুত পৌঁছতে মোটরবাইকের প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করছেন। এতে দলের কাজে গতি আসবে। এই বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস বলেন, ‘বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে বুথকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দলীয় বিধায়ক বা প্রার্থীদেরকে ২৫টি করে বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংসদকে ১০০ বুথের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের কাজে লাগাতে পারলে বুথ এলাকায় কর্মীদের কাছে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে।’
অন্যদিকে বিজেপির এই শক্তিশালী বুথ গঠনের কর্মসূচির নেপথ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। আর তাতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বুথে বুথে মোটরবাইক বাহিনী গড়তে চাইছে বিজেপি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘রাজ্যের কোনও বুথেই বিজেপি কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব জায়গায় প্রার্থী দিতেও পারবে না বিজেপি। তাই নির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাইকবাহিনী প্রস্তুত করছে ওরা।’