উপনির্বাচনে বিজেপির হারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়া দেখছে সংঘ-ঘনিষ্ঠ পত্রিকা

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ম্যাজিকের উপর নির্ভর করার প্রবণতা কমানোর বিষয়ে জোরদার সওয়াল করা হয়েছে।

উপনির্বাচনে ভরাডুবি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলেছে, দাবি পত্রিকার।

উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে দেওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপিকে একহাত নিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ঘনিষ্ঠ পত্রিকা ‘স্বস্তিকা’।

সাপ্তাহিক পত্রিকাটির গত ৯ ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত দু’টি প্রবন্ধে বাংলায় বিজেপির রণকৌশল সম্পর্কে কঠিন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রবন্ধে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের ম্যাজিকের উপর নির্ভর করার প্রবণতা কমানোর বিষয়ে জোরদার সওয়াল করেছেন।

তাঁর মতে, দলের রাজ্য শাখার অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই উপনির্বাচনে আশানুরূপ ফলের পতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বাধিনসভা নির্বাচনের প্রচারে ফের মোদী-শাহের উপর নির্ভর করলে ভরাডুবি হবে বলেও প্রবন্ধে রাজ্য শাখাকে সাবধান করেছেন রাজ্যসভার সাংসদ।

বিশেষ করে উপনির্বাচনে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীর হার একেবারেই মেনে নিতে পারেননি স্বপন দাশগুপ্ত।

দ্বিতীয় প্রবন্ধে ‘স্বস্তিকা’র সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বার বার রাজ্য বিজেপির নেতা-কর্মীদের আত্মপ্রসাদ লাভের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার আগে বাংলার উপনির্বাচন বিজেপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই হারের বিষয়টি দলের পক্ষে অস্বস্তিকর তো বটেই, সেই সঙ্গে চূড়ান্ত লজ্জাজনক বলেও দাবি করা হয়েছে প্রবন্ধে।