একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরেই বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল হেয়ারস্ট্রিট থানায়। এবার ডায়মন্ডহারবারের বিভিন্ন থানায় অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। ইমেল মারফত বিজেপির তরফে বুধবার অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাও, মমতা - অভিষেকের বিরুদ্ধে FIR করলেন শুভেন্দু
উল্লেখ্য, অভিষেক দলের কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন, ‘আপনাদের এলাকায় ব্লক থেকে শুরু করে বুথ স্তরে যত বিজেপি নেতা আছেন তার একটা তালিকা তৈরি করুন। আগামী ৫ আগস্ট সমস্ত বুথ, অঞ্চল, ব্লক, জেলা থেকে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বাড়ি শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও করা হবে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করা হবে।’ তবে তাঁদের বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তারপরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল বিজেপি। শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নন, তাতে সায় দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ঘেরাও করতে হবে। নির্বাচনে যেমন ১০০ মিটার দূরে ক্যাম্প হয় ঠিক সেরকমই ক্যাম্প করতে হবে। তাতে কেউ বলতে পারবে না যে অবরুদ্ধ হয়েছে।’ মূলত বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি নেতাদের ঘেরাও করতে বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির আশঙ্কা এরফলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে। এরপরে পালটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে কলকাতার হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। বুধবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের কাছে অভিযোগ জানতে গেলে পুলিশ তাদের অভিযোগ নিতে চায়নি। তাই ইমেল মারফত ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ জানান বিজেপির নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি নেতা বিধান পাড়ুই বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন থানাতে বিজেপি কর্মীরা গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। পরে আমরা ইমেলের মাধ্যমে থানাগুলিকে অভিযোগ জানায়।’ তিনি বলেন, ‘অভিষেক সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মানুষের প্রতি যে আস্থার কথা বলেছিলেন তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উনি ৫ আগস্ট বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করার কথা বলেছেন। তাই আমাদের দাবি ওইদিন বিজেপি নেতাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। এছাড়া একজন সাংসদ হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে কথা বলেছেন তার জন্য তাঁর কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছি।’