ফের বিজেপি শিবিরে ধাক্কা। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে। বিধায়কের পর পঞ্চায়েত সদস্যরাও গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন করলেন। ফলে হাতছাড়া হল গ্রাম পঞ্চায়েত।
দক্ষিণ দিনাজপুরে কুমারগঞ্জে সোমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি আসন রয়েছে। এই ১৭টি আসনের মধ্যে বিজেপির সাতজন, তৃণমূলের ছ'জন, নির্দল তিনজন ও সিপিএমের একজন সদস্য আছেন। নির্দল ৩ জনের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি তৃণমূলের ছ'জন সদস্য বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার পর তাতে সমর্থন করে বিজেপির তিনজন সদস্য ও সিপিএমের একজন সদস্য। ফলে বিজেপি প্রধানকে সরতে হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবদুল রাকিব সরকার জানান, ‘বিজেপি ও নির্দল জোটের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। আমরা অনাস্থা এনেছিলাম। বিজেপির ৩ জন আমাদের আনা অনাস্থায় সমর্থন করেছে।’ তবে এই সমর্থনকে অবশ্য বিজেপি নিজেদের ঘরে ভাঙন বলতে নারাজ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি বিনয় কুমার বর্মন জানান, ‘ওই তিন জন বিধায়ক সমর্থন করে ভোট দিলেও তারা কেউ বিজেপিতে যাননি।’
উল্লেখ্য, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর একের পর এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল রায় দিয়ে যা শুরু হয়েছে, তা এখনও অব্যাহত। মুকুল রায়ের পর বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণপুরের বিধায়ক তন্ময় রায়, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিধায়কদের পাশাপাশি পঞ্চায়েত স্তরেও বিজেপির মধ্যে অস্বস্তি দানা বাঁধছে।