সময়সীমা বাড়িয়েও সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো যে সম্ভব হবে না সেটা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝতে পেরেছেন। তাই চাপ বাড়িয়েছেন। সেই চাপের চোটে এখন বিধায়ক–সাংসদরা যেখানে পারছেন গিয়ে মানুষকে ধরে তাঁর মোবাইল ফোন থেকে মিসড কল দিতে শুরু করেছেন। গ্রামবাংলায় সেটা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে। শহরে অতটা সক্রিয় না হলেও বঙ্গ–বিজেপির নেতারা চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ এখন আর বিজেপির দিকে ঝুঁকছেন না বলে রিপোর্ট পেয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এই আবহে অভিনব পথ বেছে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
কদিন আগেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিয়েবাড়িতে গিয়ে নববধূকে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ করতে। জমকালো বিয়েবাড়ি থেকে তখন মিসড কল দিতে দেখা গিয়েছিল শমীক ভট্টাচার্যকে। এবার আর বিয়েবাড়ি পর্যন্ত তর সইল না। একেবারে গায়ে হলুদের সময়ই হবু বধূর মোবাইল থেকে মিসড কল দিয়ে বসলেন শমীক ভট্টাচার্য। সদস্য সংগ্রহের চাপে এখন এই পথ নিয়েছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। তার পরও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ করা কি বিজেপির পক্ষে সম্ভব? উত্তর মিলতে অপেক্ষা করতে হবে ৩১ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মৎস্য বাজার গড়ে উঠছে নদিয়ায়, ভাগীরথী নদীর তীরে হরেকরকম মাছ মিলবে
সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি জনসংযোগও করছেন বিজেপি নেতারা। মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ঠিকই। তবে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সেসবও মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। যদি এভাবেও কিছুদূর যাওয়া যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দিলীপ ঘোষকে উত্তরবঙ্গে নামাতে হয়েছে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে। এবার দেখা গেল রবিবার দিন হাওড়ার এক বাড়িতে হাজির হলেন শমীক ভট্টাচার্য। শিবপুরের সেই বাড়িতে গায়ে হলুদের সময় পাত্রী গুঞ্জরী গুপ্তকে বিজেপির সদস্য করালেন শমীক। এখানে শমীক নিমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। নববধূর জীবনে নয়া ইনিংস শুরু আগেই বিজেপির সদস্য করিয়ে নিলেন তিনি।
আসলে বিন্দু বিন্দু করেই যদি সিন্দুতে পরিণত করা যায় সেই চেষ্টা করছেন শমীক ভট্টাচার্য। কদিন আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসল বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের ধমক দিয়েছিলেন। বিধায়ক–সাংসদদের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি যে খুশি নন সেটা স্পষ্টভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। তারপরই শমীক ভট্টাচার্যের উদ্যোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মধ্য হাওড়ার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ২১৭ নম্বর বুথের অন্তর্গত বাড়িতে গিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। এই বাড়িতে বিয়ের কাজ চলছিল তখন। গুঞ্জরী গুপ্ত পেশায় আন্তর্জাতিক সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। গত ১৭ নভেম্বর কামারহাটির বিয়েবাড়িতে গিয়েও নববধূকে সদস্য সংগ্রহ করিয়ে ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য।