ঠিক একদিন আগে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করতে শোনা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়। তখন জোর চর্চা শুরু হয়েছিল রাজ্য–রাজনীতিতে। একদা তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন অধুনা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই পুরনো সতীর্থর প্রশংসা করার জেরে চর্চা হয়েছিল। এবার কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির নেতা শান্তনু ঠাকুর আবার করে ফেললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ প্রশংসা। এখন সেটা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
আজ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন বারলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় যোগ দেন। তিনি যে তৃণমূল কংগ্রেসে আগামী সপ্তাহে যোগ দেবেন সেটাও পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন বাংলায় ফুলবদল হতে পারে কয়েকজন নেতার। এই আবহে শান্তনু ঠাকুর সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করার জেরে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের। তবে শান্তনু ঠাকুর খসে ঘাসফুলে যাবেন কিনা তেমন কোনও তথ্য সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন: জেলা সিপিএমের শীর্ষপদে প্রথমবার মহিলা মুখ, শূন্যের গেরো কাটাতে বড় পদক্ষেপ
আজ, বৃহস্পতিবার বাগদার হেলেঞ্চাতে মতুয়া ধর্ম মহাসম্মেলনে যোগ দেন শান্তনু ঠাকুর। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ শংসাপত্র দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। ভূয়সী প্রশংসা করে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘অভিষেক নতুন জেনারেশনের ছেলে। অনেক বেশি চৌকস এবং অনেক বেশি এক্সপার্ট। আমি মনে করি যারা বুড়ো ঘোড়া তাদের রেস্ট নেওয়া উচিত। আমি আগে বলেছিলাম আস্তাবলের বুড়ো ঘোড়াদের সরিয়ে দেওয়া উচিত। যাদের দ্বারা সরকার চলছে না তাদের রেখে লাভ কী? নতুন জেনারেশনকে এগিয়ে দিতে হবে।’
একদিন আগে কুণাল প্রশংসা করেন শুভেন্দুর। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘বিজেপিতে যারা আছে, তাদের মধ্যে সাংগঠনিকভাবে, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতায় শুভেন্দু অনেকটাই এগিয়ে। যেহেতু শুভেন্দু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুলের ছাত্র, ভাল স্কুলের তো একটা ছাপ থাকে।’ শুভেন্দু সম্প্রতি বলেছিলেন, তৃণমূল তাঁকে তাড়ায়নি। বরং তিনিই বেরিয়ে এসেছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব একটা আছে। সেটা নিয়ে এদিন খোঁচা দেন শান্তনু। তাঁর বক্তব্য, ‘ভিতরের ভাঙনটা ভালভাবে হয়েছে। এটা চলতে থাকুক। সময় ঘনিয়ে এসেছে।’