বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন উন্নয়নের কাজে জমি বাধা হবে না। মেট্রো রেলকেও জমি পাইয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকী বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য যখন বাড়িতে ফাটল ধরছিল তখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে এখন জমি জটে থমকে রয়েছে রাজ্যের মোট ৫৪টি রেল প্রকল্প বলে অভিযোগ উঠেছে। আর রাজ্য সরকার প্রকল্পগুলির জন্য জমি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। আর এই অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার।
ঠিক কী অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী? জমি দেওয়া হলে এবারের বাজেটেই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করবে রেল বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘এই রাজ্যে ৫৪টি প্রকল্পে মোট ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে ছাতনা, মুকুটমনিপুর, চাপাডাঙা তারকেশ্বর, আমতা, জঙ্গিপাড়া, ফুরফুরা শরিফের মতো ১৬টি নতুন রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প রয়েছে। আর ৪টি লাইন ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ করার প্রকল্প রয়েছে। এমনকী সিঙ্গল থেকে ডবল লাইন করার প্রকল্প ৩৪টি রয়েছে। প্রতিটি প্রকল্পের ক্ষেত্রেই মূল অন্তরায় জমি।’
কিন্তু রাজ্যের দাবি কী? কেন্দ্রীয মন্ত্রী সুভাষ সরকারের অভিযোগকে মান্যতা দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে রাজ্য সরকারের দাবি, এই প্রকল্পগুলির জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্যই থমকে রয়েছে রেল প্রকল্পগুলি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। সেদিন পেশ করা হবে রেল বাজেটও। এই অভিযোগের পাল্টা অভিযোগে প্রস্তাবিত ৫৪টি রেল প্রকল্প নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে টানাপোড়েন।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই অভিযোগ সটান উড়িয়ে দিয়েছেনবাঁকুড়ার তালডাংরার বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, ‘জমি অধিগ্রহণের জন্য রাজ্যকে টাকা দেয়নি রেল। তাই জমি অধিগ্রহণ করতে পারেনি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না জেনেও আলটপকা মন্তব্য করছেন। উনি তো রেলমন্ত্রী নন। ওঁর বক্তব্যের কোনও বাস্তবতা নেই।’ তবে বাঁকুড়ার সাংসদ হয়েও বাঁকুড়ার উন্নয়নে সুভাষ সরকার সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করেননি বলে দাবি বিধায়কের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup