একুশের নির্বাচনের পর থেকে শুধুই পরাজয়ের মুখ দেখেছে বিজেপি। জেলায় জেলায় সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দলের অন্দরে বিক্ষুব্ধদের সংখ্যা বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আরও একটি উপনির্বাচন। সেখানে বিজেপি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে ওখানকার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে। আর এখানে দাঁড়িয়েই তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘বিজেপির সংগঠন এখন একটু নড়বড়ে হয়ে আছে।’
এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কী হারের আশঙ্কা করছেন তিনি? যদিও অগ্নিমিত্রা পাল তাঁর নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে কটাক্ষ করেছেন? ঠিক কী বলেছেন অগ্নিমিত্রা? এদিন প্রচারে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপির সংগঠন এখন একটু নড়বড়ে হয়ে আছে। কিন্তু তারপরও আসানসোলের মানুষ কোনও বহিরাগতকে বিশ্বাস করবে না। মিস্টার সিনহা হোক, বা মিস্টার ঘোষ বা মিস্টার চোপড়া, যে কেউ আসতে পারেন বাইরে থেকে। তাঁরা সকলেই আসানসোলে স্বাগত। কিন্তু ভোটে জেতার জন্য নয়। তিনি মুম্বইয়ের অভিনেতা হিসেবে আসানসোলে স্বাগত। কিন্তু, বহিরাগত মানুষকে আসানসোলের মানুষ ভোট দেবে না।’
নাম না করে তিনি উদ্দেশ্য করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে। যদিও দেওয়াল লিখনে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে বাঘিনী বলে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। এদিকে বিজেপির কাছে প্রেস্টিজের বিষয় আসানসোল কেন্দ্র। কারণ এখান থেকেই পর পর দু’বার জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে। বাবুলের ছেড়ে যাওয়া আসনে অগ্নিমিত্রা পদ্ম ফোটাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, আসানসোলে এখন বড় চমক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করে। এটা বিজেপি ভাবতেও পারেনি। তাই তাদের অতিরিক্ত সময় লেগে যায় প্রার্থী ঘোষণা করতে। এমনকী অন্য কেউ প্রার্থী হতে না চাওয়ায় অগ্নিমিত্রার উপরই ভরসা রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে অগ্নিমিত্রার হারাবার কিছু নেই। এই নির্বাচনে যদি তিনি হেরে যান তাহলেও বিধায়ক থাকবেন। আগামী ১২ এপ্রিল রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ১৬ তারিখ ফলপ্রকাশ।