বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Amarnath Sakha: পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি তুললেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক, পাগলের প্রলাপ কটাক্ষ তৃণমূলের

Amarnath Sakha: পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি তুললেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক, পাগলের প্রলাপ কটাক্ষ তৃণমূলের

বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।

বেশ কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহলের দাবি করেছিলেন। আবার একুশের নির্বাচনের পর থেকেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিও তুলেছেন বিজেপি সাংসদরা। সেখানে ‘উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বাংলা’ জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাংলা ভাগের দাবি থেকে কিছুতেই সরছে না বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। এবার পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবিতে সোচ্চার হলেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে এই দাবি আদায় করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে ভাল ফল বিজেপি করলেই এই পথে হাঁটবেন তিনি বলে জানিয়েছেন।

ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক?‌ এদিন বাঁকুড়ার মুড়াকাটায় জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবিতে তিনি বলেন, ‘‌পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘণ্টা বেজে যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর পরিবর্তন আসবেই। আমরা রাঢ়বঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করলে অমিত শাহের কাছে পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি জানাব। তাই আপনারা সকলে ভোট দিন।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ বেশ কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পৃথক জঙ্গলমহলের দাবি করেছিলেন। আবার একুশের নির্বাচনের পর থেকেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিও তুলেছেন বিজেপি সাংসদরা। সেখানে ‘উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে বাংলা’ জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা সত্ত্বেও বাংলা ভাগের দাবি থেকে সরছে না বিজেপি। একই কথা বলেছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও। তবে এভাবে বাংলা ভাগের কথা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্য নিয়ে জেলায় জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে, ‘‌কোনও ইস্যুতে বলার সুযোগ না পেয়ে এসব কথা বলছেন বিজেপি বিধায়ক। বাংলায় বিজেপির থাকার অধিকার আছে কিনা সেটা সাধারণ মানুষ স্থির করবে।’‌

বন্ধ করুন