পাট নিয়ে বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার রেলের বিরুদ্ধেও সুর চড়ালেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। এমনকী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক এবং স্টপেজের দাবি না মানলে রেল অবরোধের হুমকি দিয়েছেন অমরনাথবাবু। আগামী ১০ মে তিনি ওন্দার রামসাগরে ১২ ঘণ্টার ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এই নিয়ে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম–কে তিনি চিঠি দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন অমরনাথ শাখা? এই বিষয়ে অমরনাথবাবু বলেন, ‘গত কয়েক মাস আগে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। রেলের অন্যান্য পদস্থ কর্তাদেরও চিঠি দিয়েছি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই মানুষের স্বার্থে রেল অবরোধের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাঁকুড়ার অন্যান্য বিজেপি বিধায়করাও তাতে সামিল হবেন।’
রেলের পক্ষ থেকে কী বলা হচ্ছে? এই বিষয়ে আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মনীশ কুমার বলেন, ‘ট্রেন চালানো এবং স্টপেজের বিষয়ে নয়াদিল্লির সদর দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি। পেলেই কাজ হবে।’ আর ওন্দার বিধায়কের অভিযোগ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মানুষ রেল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করব।
সমস্যাটি ঠিক কোথায় হচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনাভাইরাস পর্বের আগে বাঁকুড়ায় শিরোমণি ফাস্ট প্যাসেঞ্জার চলত। এখনও সেই ট্রেন বন্ধ রয়েছে। দু’একটি লোকাল ট্রেনও চলছে না। চক্রধরপুর–হাওড়া ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের একাধিক স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরুলিয়া এক্সপ্রেসও দাঁড়াচ্ছে না ওন্দা স্টেশনে। ওন্দার রামসাগরে ডিম পোনা উৎপাদনকারী শতাধিক হ্যাচারি রয়েছে। গোটা রাজ্যজুড়ে তার ব্যাপ্তি। সেখানে রামসাগর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াচ্ছে না। তৈরি হয়েছে সমস্যা।