আরজি করের নৃশংস ঘটনার বিচার এখনও মেলেনি। আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজ্যে পরপর আরও একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। তার মধ্যে সাম্প্রতিকতম হল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার ঘটনাটি। সেখানে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে গতকাল ফালাকাটায় নিহত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গাছে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাস্থলে আসে ফালাকাটা থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই আবহে শুভেন্দু অভিযোগ করেন, নিয়ম মেনে নাবলিকার ময়নাতদন্ত হয়নি। (আরও পড়ুন: গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল, আক্রান্ত একের পর এক MLA, 'ড্যামেজ কন্ট্রোলে' কুণাল)
আরও পড়ুন: 'মমতার ভোটব্যাঙ্কে' থাবা বসাতে অঙ্ক কষলেন শুভেন্দু, উপনির্বাচনেই ফর্মুলা প্রয়োগ?
ফালাকাটায় গিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, 'এই রাজ্যের ধর্ষকদের রক্ষক সরকার। এর জন্যে মুখ্যমন্ত্রী নিজে দায়ী। কারণ বিগত ১৩ বছর ধরে তিনিই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। আমরা সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে এখানে এসেছি সহানুভূতি জানাতে। ময়নাতদন্ত কীভাবে হয়েছে আমি জানি না। তবে শুনেছি পিএম সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। এটা রাজনীতি নয়। পশ্চিমবঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটছে। শিশুকন্যারা বাদ যাচ্ছে না। এটা জঘন্ন অপরাধ। এদের জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করলেও ভুল হবে। তাতেও জানোয়ারদের অপমান করা হবে। এখানে গ্রামের লোকজন আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছিল তার কারণ এই সরকারের প্রতি তাদের আস্থা নেই।'
শুভেন্দু আরও বলেন, 'ওই নাবালিকার পরিবার যদি আইনি লড়াই করে তাদের পাশে থাকার বার্তা দিতে আমি এসেছিলাম। শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমার মনে হয়েছে ময়নাতদন্ত যে পদ্ধতিতে করা হয়েছে তা সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। ওই নাবালিকার পরিবার যেমন চাইবে আমরা সেভাবেই সাহায্য করব। এটা জঘন্য অপরাধ এবং এই লোকগুলোর মধ্যে মনুষ্যত্ব বিবেক বুদ্ধি বলে কিছু আছে আমার মনে হয় না।' এদিকে গণপিটুনিতে এক অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'এখানকার গ্রামের লোকেরা আইন হাতে তুলে নিয়েছে কারণ, পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সরকারের উপরে মানুষের আস্থা নেই।'