দু’দিন আগে ডান্ডা ব্যবহারের নিদান দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান উপলক্ষ্যে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এবার সেই পথ ধরেই সরাসরি বোমা মারার নিদান দিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক তথা গায়ক অসীম সরকার। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মোকাবিলা করতে এই পথই বাতলে দিলেন তিনি। যা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি বিধায়ক? ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভুলে যাও। এবার একটা বোমা মারলে ১০টা পড়বে।’ বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের একটি পথসভায় বাগদায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন তিনি।
আর কী বলেছেন তিনি? তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রতিটি নির্বাচনে হেরেছে বিজেপি। কিন্তু পার্থ–অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ায় এখন অক্সিজেন পেয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে দেখুন কতজন জেলখানায় ঢোকে। তোমরা ঘর দিয়ে টাকা নাওনি? তোমরা পায়খানা করে দিয়ে টাকা খাওনি গরিব মানুষের? ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন ভুলে যাও বন্ধু। এটা ২০২২ সাল। ওই নির্বাচনে তোমরা যা করেছ, তোমরা যা করেছ পৌরসভা নির্বাচনে সে সব অতীত। তোমরা আর ভেবো না আগামীতে ভারতীয় জনতা পার্টির সৈনিকরা ঘুমিয়ে থাকবে। ওরা যদি একটা বোমা মেরে আপনাকে মারতে চায় তাহলে ১০টা বোমা মারার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমরা বোমা মারব না, কিন্তু তোমরা মারতে এলে আমরা ছাড়ব না।’
বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হবে? যদিও অসীম সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘২০১৮ সালে অসীম সরকার কোথায় ছিলেন? ও যে ভাষায় কথা বলছে তাতে ওকে এখনও কেন মহিলারা ঝাটাপেটা করেনি বুঝি না। যার ভাষা জ্ঞান নেই তাঁর কথার উত্তর দেব কেন?’ সুতরাং জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।