বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে নিয়ে জল্পনা ছিল নির্বাচনের আগে থেকেই। নির্বাচনের আগেই মুকুল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই বিধায়ক বিধানসভায় দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তবে তখনও দলবদল করেননি। তবে নির্বাচনের পর মুকুল রায় দলবদল করার পর ফের একবার তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়ে। আর এর মাঝেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগা থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকা নিয়ে জল্পনা বজায় থাকে। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার বনগাঁয় দলীয় মিছিলে অনুপস্থিত থাকলেন বিশ্বজিৎ।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো মুকুল অনুগামী হিসেবে পরিচিত বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দল ছাড়বেন কিনা, তা স্পষ্ট না হলেও বিজেপির সভা-বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে জল্পনা বজায় রেখেছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিশ্বজিৎ। সোমবারের কর্মসূচিতে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর-সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তবে ছিলেন না বাগদার বিধায়ক।
একের পর এক দলীয় বৈঠকে গরহাজির থাকছেন বিশ্বজিৎ। এর আগে দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেননি। অনুপস্থিত থেকেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বৈঠকেও। বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের ঘরে একাধিকবার যেতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের জল্পনাও শুরু হয়েছে, তাহলে কী এবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস পুরানো দল তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন?
এই প্রশ্ন অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এই বিষয়ে জেলা সভাপপির বক্তব্য, বিশ্বজিৎ অসুস্থ, তাই মিছিলে আসতে পারেননি। অবশ্য এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। বাগদার তৃণমূল নেতা তরুণ ঘোষ বলেন 'এদিন কেন, সাম্প্রতিককালে বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে বিধায়ককে দেখা যায়নি। তিনি বিজেপিতে আছেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।'