রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যের ২২টি জেলায় ভোট হবে এক দফাতেই। আর দিনক্ষণ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। আজ, শুক্রবার প্রত্যেক জেলাশাসকের সঙ্গে নির্বাচনী ইস্যুতে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নয়া নির্বাচন কমিশনার। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার সর্বদল বৈঠক হতে পারে। এই আবহে আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ। যে কারণে কোতুলপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে কোতুলপুর ব্লকে গিয়েছিলেন মনোনয়নের ফর্ম তুলতে। আর তখনই বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আজ, শুক্রবার বিধায়ক হরকালী প্রতিহার অভিযোগ তোলেন ব্লকে এখনও পর্যন্ত ফর্ম আসেনি। তারপর এই নিয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এই ঘটনার পর বিধায়ক যখন ব্লক থেকে বেরিয়ে আসেন তখনই বিধায়ককে ঘিরে কিছু মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকী চোর স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিধায়ক গাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েন। তখন তাঁকে বন্ধ গাড়িতে রেখেই বিক্ষোভ দেখানো হয়। তারপর বিধায়ককে তাড়া করতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। যা দেখে চমকে ওঠেন বিধায়ক।
তারপর ঠিক কী ঘটল? যখন বিধায়ক দেখলেন মানুষ ক্ষেপে গিয়েছেন তখন তিনি সেখান থেকে পিঠটান দিতে চেষ্টা করেন। তখন ওই বিধায়কের গাড়ি লক্ষ্য করে একের পর এক ছোড়া হয় ঢিল। তাতে গাড়ির টুকটাক ক্ষতি হলেও বড় আকার নেয়নি। যদিও এই বিধায়কের অভিযোগ, গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস আছে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তারা। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানাবেন। রবিবার ছাড়া প্রত্যেক দিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ১৭ জুন স্ক্রুটিনির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। প্রত্যাহার করা যাবে ২০ জুন পর্যন্ত। ৮ তারিখ ভোট হলেও ১১ জুলাই ভোটগণনা হতে পারে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কোতুলপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার যে অভিযোগ তুলেছেন সেটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সমগ্র বিষয়টি অস্বীকার করে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিধায়ক এলাকায় উন্নয়ন করেন না। মানুষ তাকে যেখানেই দেখে সেখানেই বিক্ষোভ দেখায়। মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এটা। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই মানুষ বেশি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়।’