বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি এনেও ভাঙন রুখতে পারবে না। এবার সেই সম্ভাবনাই উজ্জ্বল হয়ে উঠল। আর সেই ভাঙন ধরতে চলেছে বিধায়ক ব্যাঙ্কে। সুতরাং বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। হ্যাঁ, তিনি হলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল যখন দলীয় কার্যালয় থেকে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ছবি সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার সরলো নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের ছবিও। সুতরাং কৃষ্ণ কল্যাণীর তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ত্যাগ করেছেন। এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে। তার আগে থেকেই বেসুরো গাইছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার বিজেপি বিধায়কের নিজস্ব কার্যালয় থেকে সরে গেল নরেন্দ্র মোদীর ফ্লেক্স। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের এক মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়ে গিয়েছে। যদিও কৃষ্ণ কল্যাণী নিজে মুখ কিছু স্বীকার করতে চাননি। জেলার অনেকে বলছেন, মহালয়ার দিনই ঘটতে পারে ভাঙন।
জানা গিয়েছে, এখন কলকাতায় রয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আর কলকাতায় বসেই ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি। বিজেপির সব কর্মসূচি থেকে আগেই না থাকার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সুতরাং এখন জেলার কোনও কর্মসূচিতে তিনি থাকছেন না। কলকাতায় বসে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন বলে খবর।
সম্প্রতি জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে কার্যত সরব হয়েছিলেন। তারপর থেকেই দূরত্ব বাড়ছিল। তাহলে কী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক? এই বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘আমি কলকাতায় আছি। রায়গঞ্জের পার্টি অফিসে কি হয়েছে বলতে পারব না। রায়গঞ্জে ফিরে যা বলার বলব।’