বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Adenoviruses in North Bengal: 'উত্তরের মানুষ মরলে রাজ্যের ভ্রুক্ষেপ নেই', অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে তোপ শংকরের

Adenoviruses in North Bengal: 'উত্তরের মানুষ মরলে রাজ্যের ভ্রুক্ষেপ নেই', অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে তোপ শংকরের

বিধায়ক শংকর ঘোষ। 

চিঠি দিয়ে বিধায়ক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত। নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। উত্তরবঙ্গে এই ধরনের কোনও পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি নেই। প্রয়োজনে ল্যাবরেটরির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।

রাজ্যে হুহু করে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বহু শিশু ভরতি রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে। অ্যাডিনো ভাইরাস উত্তরবঙ্গে মারাত্মক আকার ধারণ না করলেও সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেক শিশু। দক্ষিণবঙ্গের হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কেউ অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত হলেও নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানোর নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে নমুনা পাঠানোর কোনও নির্দেশিকা নেই বলে অভিযোগ। এর ফলে শিশুরা অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন কিনা তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। এমন অবস্থায় এই সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন বিধায়ক শংকর ঘোষ।

চিঠি দিয়ে বিধায়ক জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া উচিত। নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। উত্তরবঙ্গে এই ধরনের কোনও পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরি নেই। প্রয়োজনে ল্যাবরেটরির ব্যবস্থা করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক।

উত্তরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক না হলেও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। আজ বুধবার তিনি শিলিগুড়ি সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে উত্তরে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘অ্যাডিনোর সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও পরিকাঠামো নেই শিলিগুড়িতে। এখনও ল্যাব তৈরি হয়নি। আলাদা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়নি।' শংকরের দাবি, সংক্রমণ শুরু হলে তার মোকাবিলায় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য দফতর।

যদিও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন হাসপাতালের সুপার। তবে তিনি স্বীকার করে নেন ভাইরাস চিহ্নিত করার জন্য কোনও ব্যবস্থা উত্তরে নেই। আলাদা করে এখনও ওয়ার্ড তৈরি হয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘উত্তরবঙ্গের মানুষ মরল নাকি বাঁচল তাতে কলকাতার কিছু এসে যায় না। সেই কারণে বারবার বলা সত্ত্বেও এখানে আইডি হাসপাতাল হোক বা ল্যাবরেটরি তৈরির কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি এই নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুরসভাকে সচেতন করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ জানান, অনেক শিশু হাসপাতলে ভর্তি হচ্ছে। তবে সেই সংখ্যাটা অন্যান্য সময়ে যা থাকে এখনও তাই আছে। এ বিষয়ে ব্লাড টেস্ট করে দেখা হয়েছে তাতে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তিনি অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন