দু’দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার অবশেষে ছাড়া পেলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর ডান হাতের লিগামেন্টে গুরুতর চোট থাকায় আপাতত বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকায় এখনই অস্ত্রোপচার করা সম্ভব নয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: চোখের নিচে হাড় ভেঙেছে খগেন মুর্মুর, স্থানান্তরিত করা হতে পারে দিল্লির এইমসে
গত সোমবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় বিক্ষোভের মুখে পড়েন খগেন মুর্মু ও শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, তাঁরা দু’জনই আক্রান্ত হন জনতার হামলায়। খগেনবাবুর বাঁ চোখের নীচে হাড়ে গুরুতর আঘাত লাগে, আর শঙ্করের হাতে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। ঘটনায় রাজনৈতিক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে গোটা উত্তরবঙ্গে। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, একই হাসপাতালে ভর্তি শঙ্কর ঘোষ বুধবার সকালে ছাড়পত্র পান। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, হাতে ব্যথা আছে, কিন্তু আগের চেয়ে ভালো আছেন। যা হয়েছে, তা নিছক দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পিত হামলা। তিনি অভিযোগ করেন, ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন। প্রথমে কোনও সমস্যা হয়নি। হঠাৎ কিছু লোক ‘দিদি-দিদি’ বলে তেড়ে আসে, তারপরই আক্রমণ করে। পুলিশ তখন দাঁড়িয়ে দেখছিল।
শঙ্করের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে দেখতে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি নিজেই অনুমতি দেননি। অন্যদিকে, সাংসদ খগেন মুর্মুর শারীরিক পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর ফেসিয়াল বোন ভাঙা, তবে ডায়াবিটিসের কারণে অস্ত্রোপচার বিলম্বিত হচ্ছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অন্তত ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হতে পারে প্রবীণ সাংসদকে।
বুধবারই তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, খগেনবাবুর ডায়াবিটিস ও হাইপার টেনশন আছে। চিকিৎসকরা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন। তবে ওঁর চোট গুরুতর। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে সুকান্তের হুঁশিয়ারি, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, রাজনৈতিক আক্রমণ। দিদির সৈনিকেরাই মারধর করেছে। পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয়, বিজেপি নিজের মতো করে ট্রিটমেন্ট দেবে।