প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষ্ণনগরে সভা করার পর বৈঠক করার জন্য ডেকে নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর ওই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে টোটকা দেন বঙ্গ–বিজেপির এই দুই নেতাকে। আর তাতেই নিজেকে বিরাট মনে করে এক্স হ্যান্ডেলে বাংলার ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুরুর আগে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি মহুয়া মৈত্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। কিন্তু এই বিষয়ে নীরব ছিলেন মোদী।
এদিকে আজ, শনিবার কৃষ্ণনগরের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘মনে আছে তো আমাদের আরাধ্য দেবী মা কালীকে অপমান করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবারের নির্বাচনে মহুয়ার ওই বক্তব্যের বদলা নিতে হবে ইভিএমে।’ সুকান্ত মজুমদার অবশ্য মহুয়ার নাম উল্লেখ না করে বলেছেন, ‘এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খান। লিপস্টিক, পাউডারের লোভে সাংসদ নিজের লগ ইন পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন। তারপরও তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছে তৃণমূল।’ এতকিছুর পরও কিন্তু নীরবই থাকলেন মোদী।
অন্যদিকে মোদীর সঙ্গে বঙ্গ–বিজেপির এই দুই নেতা বৈঠক করেন। সেখানে এসব নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু লড়াই–আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আর তারপরই এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘আমি সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্ব এবং বুদ্ধিমত্তার বাক্য শোনার সুযোগ খুঁজি। যাতে এগিয়ে যেতে পারি। এটা একটা গর্বের মুহূর্ত সমস্ত কার্যকর্তার কাছে যখন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বাংলায় আমাদের প্রচেষ্টাকে সিলমোহর দেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আমরা বাংলার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব।’
আরও পড়ুন: ধরা পড়ার আগে কোথায় ছিলেন? সিআইডি’র জেরার মুখে ঔদ্ধত্য হারালেন শাহজাহান
শুভেন্দু অধিকারীর এইসব কথা এক্স হ্যান্ডেলে লিখলেও পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সেই জবাবও এসেছে এক্স হ্যান্ডেলেই। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যাচ্ছে ঘুষ নিতে। নারদার স্টিং অপারেশনের সেই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। আর সেখানে লেখা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গ্যারান্টি। ভ্রষ্টাচারি কা সাথ, দেশ কা সর্বনাশ।’ যে ব্যক্তিকে নারদা কাণ্ডে ঘুষ নিতে দেখা গেল তাঁকে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী একই মঞ্চে সভা করলেন। সুতরাং তাঁকে দিয়ে বাংলার বা দেশের বিকাশ হওয়া সম্ভব নয়। সর্বনাশই হবে। এই কথা বোঝাতেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।