লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এখন কোণঠাসা অবস্থা বিরোধী দলনেতার। এই আবহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আবার ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হল। আর তার জেরে মেজাজ হারালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, শুক্রবার নদিয়ার গাংনাপুরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। তাঁকে ঘিরে ওঠে ‘চোর’ স্লোগান। তখনই মেজাজ হারিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ছুটে যান গ্রামবাসীদের দিকে। আর গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে জুতো দেখান তিনি। যা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের শোভা পায় না। এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আজ, শুক্রবার রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার অর্ন্তগত গাংনাপুর এলাকায় আসেন শুভেন্দু। লোকসভা নির্বাচনের পরাজয়ের পাশাপাশি এখানের বিধানসভায় সদ্য শেষ হওয়া উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার হয়। তারপর বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ তুলেছেন কর্মীরা। তাই ‘আক্রান্ত’ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী। এই কাজ শেষ করে ফিরে আসার সময় স্থানীয় বাসিন্দা এবং তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ওঠে ‘চোর চোর’ স্লোগান। সেটা কানে যেতেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দিকে তেড়ে যান শুভেন্দু। এমনকী ভিড়ের দিকে জুতো দেখান। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তখন পুলিশের ঘেরাটোপে এলাকা ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলার ১০টি জেলা শহরে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ নবান্নের, গড়ে উঠবে শপিং মল
একুশের নির্বাচন থেকে পরাজয় দেখতে হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। তারপর পুরসভার নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচন, উপনির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির শুধুই শক্তি ক্ষয় হয়েছে। দলের অন্দরে শুভেন্দুর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর সদ্য মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করে ঘরে–বাইরে কোণঠাসা হয়েছেন তিনি। এমন আবহে ‘চোর’ ‘চোর’ স্লোগান শুনতে হওয়ায় মেজাজ হারিয়ে ফেললেন তিনি। তার জেরে গ্রামবাসীদের দিকে লেখার অযোগ্য ভাষা উচ্চারণ করতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। যা নিয়ে এখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আবহাওয়া। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি।
স্থানীয় গ্রামবাসী এবং পুলিশের উপর বেজায় চটেছেন শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে মেজাজ হারিয়ে মহিলাদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। এবার জুতো দেখালেন। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ওরা ভেবেছিল কাচ উঠিয়ে পালিয়ে যাব। আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই। গাংনাপুর থানার ওসি দাঁড়িয়ে থেকে বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করব।’