আসন্ন উপনির্বাচনের জন্যে প্রার্থীকে নিয়ে মহামিছিল করতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে পুলিশের অনুমতি না মেলায় সেই মহামিছিল বাতিল করতে হয়। এই আবহে পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের। জেলার পুলিশ সুপার, আইসি, ওসিদের বেনজির আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, জেলার বহু অফিসাররা পরকীয়ায় জড়িত। উল্লেখ্য, মহামিছিল বাতিল হলেও মেদিনীপুরে বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়কে নিয়ে পায়ে হেঁটে প্রচার করেন শুভেন্দু। সেই প্রচারের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, জেলার পুলিশ আধিকারিকদের চরিত্র খারাপ। (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে বাহিনীর হামলার অভিযোগ,বাংলাদেশকে কড়া বার্তা ভারতের)
আরও পড়ুন: 'ওই বিপ অংশ...', এবার কুমন্তব্যকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জয়ে প্রমাণিত রাজনীতিতে বয়স কোনও বিষয় নয়, বললেন কল্যাণ; অভিষেকের জবাব…
এদিকে উপনির্বাচনের প্রাক্কালে মহামিছিল নিয়ে বিজেপির অভিযোগ, অনেক আগেই এই মহামিছিলের আবেদন করা হয়েছিল। তারপরও নির্ধারিত দিনের ২৪ ঘণ্টা আগে সেই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই আবহে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, 'মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অতি নোংরা ছেলে। এই পুলিশ সুপার শুধুমাত্র গরুপাচার করে। আর সেই পাচারের টাকা ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবারে পৌঁছে দেন। বালি খাদানের টাকা পৌঁছে দেন। যার সমস্ত নথি আমার কাছে আছে।' (আরও পড়ুন: মেডিক্যাল পরীক্ষায় লাইভ স্ট্রিমিংয়ের নির্দেশ, কী বলছেন জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্ট?)
এরপর শুভেন্দু পুলিশ আধিকারিকদের চরিত্র তুলে কথা বলেন। অভিযোগ করেন, 'এদের চরিত্র অত্যন্ত খারাপ। এরা প্রত্যেকে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত। আর বেশি দিন নেই। আর মাত্র ১২-১৪ মাস হাতে আছে। যেভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে উৎখাত করে ফেলে দিয়েছি, ঠিক সেভাবে গোটা রাজ্য থেকে উপড়ে ফেলে দেব ২০২৬ সালে। এখন কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে।' (আরও পড়ুন: জানুয়ারি থেকে বাড়তে পারে ডিএ, কত হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হবে সরকারি কর্মীদের?)
আরও পড়ুন: গঙ্গার নীচে দিয়ে আরও একটি সুড়ঙ্গ তৈরি হবে কলকাতা থেকে হাওড়া, দাবি রিপোর্টে
আরও পড়ুন: সাগরে জন্ম নিতে পারে নিম্নচাপ, এই আবহে বাংলার কোথায় বৃষ্টি হবে এর মধ্যে?
এদিকে প্রচারে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান তোলেন, 'আর জি করের বদলা নিন, পদ্মফুলে ভোট দিন।' শুভেন্দু বলেন, 'ভোট দিতে পারলে, সনাতনী লোকজন কেউ ভোট দেবে না তৃণমূলকে। যে ভাবে আর জি করের ঘটনা ঘটেছে, মহিলা ও শিশুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে, তাতে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। মহিলারা দেখুন, বুঝুন। ভাতার কাছে আত্মসমর্পণ করবেন, না ডাক্তার-বোনের ধর্ষণ-খুনের হিসাব নেবেন?'