শনিবারই পথ চলা শুরু করল উত্তরবঙ্গ পর্যটনের নয়া আকর্ষণ ভিস্তাডোম কোচ। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এই ট্রেনকে সবুজ পতাকা দেখান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনিই ছিলেন প্রধান অতিথি। আর তাই নাকি আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি ঘাসফুল শিবিরের কোনও নেতা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার সুরে আবার ছিল এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা।
এদিন ভিস্তাডোমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তৃণমূলের কেউ না আসা প্রসঙ্গে জন বারলা বলেন, 'সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি সাংসদ হতেই পারি। তাতে তো কিছু যায় আসে না। একসঙ্গে কি কাজ করা যায় না? এত ভালো একটা প্রচেষ্টাকে কেন স্বাগত জানাতে পারব না? আসলে বিরোধের জন্যই চক্রান্ত করে রাজনীতি করা হচ্ছে।'
এদিকে অনুষ্ঠানে কোনও তৃণমূল নেতা না থাকা প্রসঙ্গে দলের জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'শুক্রবার রাতে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছে দল। তাই আমাদের পক্ষে এই বিষয়ে জানা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ২৮ অগস্ট আমাদের দলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি পালন করতেই আমাদের দলীয় কর্মীরা রেলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি।'
এদিকে শাসক-বিরোধী তরজার মাঝএই প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি অনুষ্ঠানকে ঘিরেও কেন এই বিরোধের রাজনীতি জারি থাকবে? প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসেবে ভাগ করার দাবিতে সরব বারলা। তাঁর পাশে বসে এই ইস্যুতে কথা বলতে শোনা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও। এই ইস্যুতে আবার গেরুয়া শিবিরকে পালটা তোপ দেগেছে তৃণমূল।