কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের পর এবার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের নিশানায় জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী। সরাসরি মলয়চন্দনের বিরুদ্ধে অর্জুনের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য বলা হচ্ছে। অর্জুনের এহেন উক্তিতে তাঁর দলবদলের জল্পনা আরও বাড়ল। পাশাপাশি চট শিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। অর্জুনের দাবি, এই পুরো ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হোক।
এদিকে রাজ্য সরাকের হয়ে ব্যাট ধরে অর্জুন সিং দাবি করেন, জুট কমিশনের দু’টি বৈঠক হয় গতবছর ২৬ নভেম্বর এবং ৬ ডিসেম্বর। জুট কমিশনার দাবি করেন সেই বৈঠকে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছিল যে কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম ছ’হাজার টাকা করা হবে। তবে অর্জুন সিংয়ের দাবি, জুট কমিশনার ঠিক কথা বলছেন না। এই দর রাজ্য সরকার মেনে নেয়নি সেই বৈঠকগুলিতে। এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে সরাসরি আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কাঁচা পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত না বদলালে আন্দোলনে নামতে হবে।
আরও পড়ুন: এই ৫ কারণে তৃণমূলে ফিরতে পারেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং
উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন অর্জুন সিং। এরপর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করেন তিনি। ব্যারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপির প্রতীকে। তবে সাম্প্রতিককালে রাজ্যে বিজেপিতে ফাটল চওড়া হচ্ছে ক্রমশ। এই পরিস্থিতিতে অর্জুনও বাবুলের পথ অনুসরণ করবেন কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা দেখা দিয়েছে। এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সোমবার অর্জুন বলেছিলেন, ‘যদি মানুষই আমার সঙ্গে না থাকেন, তা হলে কীসের দল? আজ আমি যা হয়েছি সেটা মানুষের জন্য হয়েছি। নিজেও চটকলের শ্রমিক ছিলাম। আজ তাঁদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না। ফলে দাবি না মানলে ছেড়ে কথা বলব না।’ সূত্রের খবর, এই আবহে কেন্দ্রের থেকে কোনও সাড়া না পেলে জুনে ‘বড় সিদ্ধান্ত’ নিতে পারেন অর্জুন সিং।