সম্পূর্ণ হল ঝালমুড়ির বৃত্ত, ‘খেলা’ দেখিয়ে তৃণমূলে যোগ বাবুলের

তৃণমূলে যোগ বাবুলের

সম্পূর্ণ হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খাওয়ার বৃত্ত। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের উপস্থিতিতে দলবদল করেছেন তিনি। যিনি মাসকয়েক আগেও ‘ভাইপোর’ বিরুদ্ধে নিয়মিত তোপ দাগতেন। মমতাকে 'সিভিক মুখ্যমন্ত্রী' বলতেন।

সেই আনুষ্ঠানিক যোগদানের পর বাবুল দাবি করেন, বাংলার হয়ে কাজ করার জন্য সামনে ‘বড় সুযোগ’ এসেছে। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাবুলের কথায়, ‘মমতাদিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত।’ সঙ্গে তিনি জানান, রাজনীতি থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বুঝতে পেরেছেন। বিজেপির থেকেও আক্রমণ আসবেও বলে জানতেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাবুল জানান, রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কতটা সুযোগ ছিল, সেটা তো সকলেরই জানা। গত সাত বছর ধরে বাংলার জন্য যা কাজ করছিলেন, তাতে যেন একটা 'ফুল স্টপ' পড়ে গিয়েছিল। তাতে কোনও যুক্তি খুঁজে পাননি।

বাবুল ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেন, বাবুলের বিজেপি ভালো লাগেনি। তাই বিজেপি ছেড়েছেন। মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। যদিও বাবুলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি এবং সিপিআইএম। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, মন্ত্রী হওয়া যে বাবুলের লক্ষ্য ছিল, আজ প্রমাণিত হয়ে গেল। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আসানসোলের জনাদেশের অসম্মান করেছেন। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও আসানসোল থেকে বিজেপি জিতবে। সঙ্গে বাবুলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, বাবুল তো কোনও কাজ বেশিদিন করেন না। অল্পদিন ফুটবল খেলেছেন। অল্পদিন ব্যাঙ্কে কাজ করেছেন। অল্পদিন বিজেপিতে থেকেছে। এবার অল্পদিন তৃণমূলে থাকবেন। সিপিআইএমের আবার কটাক্ষ, বাবুল যেদিকে দেখেছেন সুবিধা পাচ্ছেন, সেদিকে গিয়েছেন। শুক্রবার পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করছিলেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্তুতি করবেন।