এতদিন রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ বলে সোচ্চার হতেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের রেল কোয়ার্টারগুলির হাল দেখে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। খোদ রেলশহর খড়্গপুরেই জরাজীর্ণ রেল কোয়ার্টার দেখে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনও সংস্কার হয়নি। দিলীপের হুঙ্কারে দুর্দশার ছবি দেখতে ছুটে যান দক্ষিণ–পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অর্চনা যোশী।
ঠিক কী ঘটেছে রেলশহরে? এখানে বৃহস্পতিবার রেল স্টেশনের দ্বিতীয় ফুটব্রিজের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানেই এসেছিলেন দক্ষিণ–পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা যোশী। সেখানে তিনি নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন। তখন বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে যান দক্ষিণ–পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।
ঠিক কী বলেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ? এখানে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রেলের এখানে বস্তি, কোয়ার্টার, অফিসের হাল জরাজীর্ণ। কোয়ার্টার ভেঙে যাচ্ছে। ছাদ থেকে জল পড়ছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। খড়্গপুর জুড়ে রেল এলাকা হওয়ায় রেলের উন্নয়ন না হলে এই শহরের উন্নতি হবে না।’ এই বক্তব্য শোনার পর রেল কর্তৃপক্ষ বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে। জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়।
দিলীপের বক্তব্যের পরে মঞ্চ থেকে নেমে রেলের কর্দমাক্ত রাস্তা পেরিয়ে রেল কলোনিতে ঢুকে পড়েন জেনারেল ম্যানেজার। অনেকেই তাঁর কাছে ক্ষোভ উগড়ে দেন। গোটা এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। কোয়ার্টারগুলি পরিদর্শন করেন তিনি। সব দেখে ডিআরএম মনোরঞ্জন প্রধান ও রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন জেনারেল ম্যানেজার। আর তিনি বলেন, ‘রেল কোয়ার্টারের উন্নতির ব্যাপারে আমরা ভাবছি। রেল বোর্ড ‘রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’কে বিষয়টি দেখতে বলেছে।’