সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই সাবলীল মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তবে বলাগড়ের বিধায়ক হওয়ার পর সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁর একাধিক পোস্টকে ঘিরে শোরগোল পড়ে বিভিন্ন মহলে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি লিখেছিলেন, ‘রাজনীতিতে এসে বোধহয় তিনি ঠিক করেননি।’ এনিয়ে একেবারে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় শাসকদলের অন্দরে। সদ্য বিধায়কের মুখে এই হতাশাজনক কথা শুনে বিষ্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। বহু মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনে এবং তা মেটাতে না পারার যন্ত্রণা থেকে একথা বলেছিলেন তিনি, এমনটাও জানিয়েছেন লেখক, বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। এদিকে ফেসবুক থেকে কিছুদিনের জন্য বিদায় নেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তবে বিধায়কের এইসব পোস্ট নিয়ে এবার পালটা সুর চড়িয়েছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘কেন রাজনীতিতে আসা ঠিক হয়নি বলে বিধায়ক বলছেন তা সঠিকভাবে বলতে পারব না। তবে সত্যি তৃণমূল সরকারের আমলে মানুষ কিছু পায়নি। প্রত্যেক জায়গায় মানুষ অসহায়। কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। সেখানে সিন্ডিকেট, কাটমানি এই বিষয়গুলি আসছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় নিতে হবে সরকারকে। বিধায়করাও হয়তো বুঝতে পারছেন ক্ষমতায় এলেই সব হয় না। রাজ্য সরকারের অনেক বিধায়কই কাজ করতে পারেন না। তাঁদের কোনও কাজ দেওয়া হয় না। নেতা মন্ত্রীদের টাকা খাওয়া চলছে। এটা বুঝতে পেরেই হয়তো তিনি পোস্টটা করেছিলেন। পরে ধমকানি খেয়েছেন।’ তবে মনোরঞ্জনের পালটা দাবি ‘কেন্দ্র সহায়তা না করলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। মানুষের দুঃখ যন্ত্রণা কাছ থেকে দেখার পরই এই ফেসবুক পোস্ট।’